পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী আপনাতে আপনি চকিত, যেন কবি বাল্মীকির উচ্ছ্বসিত অনুষ্ঠুভ। স্বর্গে যেন স্বরমুন্দরীর প্রথম যৌবনোল্লাস, নূপুরের প্রথম ঝংকার, আপনার পরিচয়ে নিঃসীম বিস্ময় আপনার, আপনারি রহস্তের পিছে পিছে উংস্থক চরণে অপ্রাস্ত সন্ধান । সেই ছবিখানি রহিল স্মরণে চিরদিন মনোমাঝে । সেদিনের যাত্রাপথ হতে আসিয়াছি বহুদূরে ; আজি ক্লাস্ত জীবনের স্রোতে নেমেছে সন্ধ্যার নীরবতা। মনে উঠিতেছে ভাসি শৈলশিখরের দূর নির্মল শুভ্রত রাশি রাশি বিগলিত হয়ে আসে দেবতার আনন্দের মতো । প্রত্যাশী ধরণী যেথা প্রণামে ললাট অবনত । সেই নিরস্তর হাসি অবলীল গতিচ্ছন্দে বাজে কঠিন বাধায় কীর্ণ শঙ্কায় সংকুল পথমাঝে দুর্গমেরে করি অবহেলা । সে-হাসি দেখেছি বসি শস্যভরা তটচ্ছায়ে কলম্বরে চলেছে উচ্ছ্বসি পুর্ণবেগে । দেখেছি অম্লান তারে তীব্র রৌদ্রদাহে শুষ্ক শীর্ণ দৈন্যদিনে বহি যায় অক্লান্ত প্রবাহে সৈকতিনী, রক্তচক্ষু বৈশাখেরে নিঃশঙ্ক কৌতুকে কটাক্ষিয়া— অফুরান হাস্যধারা মৃত্যুর সম্মুখে । হে হিমান্ত্রি, সুগম্ভীর, কঠিন তপস্যা তব গলি ধরিত্রীরে করে দান যে-অমৃতবাণীর অঞ্জলি এই সে হাসির মন্ত্র, গতিপথে নিঃশেষ পাথেয়, নিঃসীম সাহসবেগ, উল্লসিত অশ্রাস্ত অজেয় । ১ বৈশাখ ১৩৩৪ श्रृंोक्लिनिरक७न