পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి రి রবীন্দ্র-রচনাবলী আমার পড়ার মাঝে তারি আসার ঘণ্টা যদি বাজে সহজ মনে পারি যেন আসর ছেড়ে দিতে নতুন কালের বঁাশিটিরে নতুন প্রাণের গীতে। ভরেছিলেম এই ফাগুনের ডালা তা নিয়ে কেউ নাই-বা গাথুক আর-ফাগুনের মালা ১৯ অগস্ট ১৯২৭ প্লানসিউস জাহাজ $ বছর বিশেক চলে গেল সাঙ্গ তখন ঠেলাগাড়ির খেলা ; নন্দ বললে, “দাদামশায়, কী লিখেছ শোনাও তো এইবেলা !" পড়তে গেলেম ভরসাতে বুক বেঁধে, কণ্ঠ যে যায় বেধে ; টেনে টেনে বাহির করি এ খাতা ওই খাতা, উলটে মরি এ পাতা ওই পাতা । ভয়ের চোখে যতই দেখি লেখা, মনে হয় যে রস কিছু নেই, রেখার পরে রেখা । গোপনে তার মুখের পানে চাহি, বুদ্ধি সেথায় পাহারা দেয় একটু ক্ষমা নাহি। নতুনকালের শানদেওয়া তার ললাটখানি খরখড়গ-সম, শীর্ণ যাহা, জীর্ণ যাহা তার প্রতি নির্মম । তীক্ষু সজাগ আঁখি, 鲇 কটাক্ষে তার ধরা পড়ে কোথা যে কার ফাকি । সংসারেতে গর্তগুহা যেখানে-যা সবখানে দেয় উকি, অমিশ্র বাস্তবের সাথে নিত্য মুখোমুখি ।