পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তকরবী ہے۔* ©ዓ¢ বিশু। কী গান করব । নন্দিনী । পথচাওয়ার গান । বিশু । গান যুগে যুগে বুঝি আমায় চেয়েছিল সে। সেই বুঝি মোর পথের ধারে রয়েছে বসে। আজ কেন মোর পড়ে মনে, কখন তারে চোখের কোণে দেখেছিলেম অফুট প্রদোষে, সেই যেন মোর পথের ধারে রয়েছে বসে । আজ ওই চাদের বরণ হবে আলোর সংগীতে, রাতের মুখের আঁধারখানি খুলবে ইঙ্গিতে । শুক্ল রাতে সেই আলোকে দেখা হবে, এক পলকে সব অণবরণ যাবে যে খসে । , সেই যেন মোর পথের ধারে রয়েছে বসে। নন্দিনী। পাগল, যখন তুমি গান কর তখন কেবল আমার মনে হয়, অনেক তোমার পাওনা ছিল কিন্তু কিছু তোমাকে দিতে পারি নি । বিশু। তোর সেই কিছু-না-দেওয়া আমি ললাটে পরে চলে যাব । অল্প-কিছুদেওয়ার দামে আমার গান বিক্রি করব না – এখন কোথায় যাবি । নন্দিনী । পথের ধারে, যেখান দিয়ে রঞ্জন আসবে। সেইখানে বসে আবার তোমার গান শুনব । [ উভয়ের প্রস্থান সর্দার ও মোড়লের প্রবেশ সর্দার । না, এপাড়ায় রঞ্জনকে কিছুতে আসতে দেওয়া চলবে না। মোড়ল । ওকে দূরে রাখব বলেই বজগড়ের সুড়ঙ্গে কাজ করাতে নিয়ে গিয়েছিলুম। সর্দার । তা কি হল । মোড়ল । কিছুতেই পারা গেল না। সে বললে, ‘হুকুম মেনে কাজ করা আমার অভ্যেস নেই।’