পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী # 8 سeb\ বেশী পরিমাণে পড়া চাই। ওদের খুব কম বঁচিলেও চলে, কেননা ওদের ভারলাঘবের জন্যে আমরাই বাচি। একি ওদের পক্ষে কম বঁাচোয়া । # নন্দিনী। গোসাইজি, ভগবান তোমার উপরে এদের কোন উপকারের . বিষম ভার চাপিয়েছেন । গোসাই। যে-প্রাণ সীমাবদ্ধ নয়, তার অংশভাগ নিয়ে কারে সঙ্গে কারে ঝগড়ার দরকারই হয় না, আমরা গোসাইরা সেই প্রাণেরই রাস্তা দেখাতে এসেছি। এতেই যদি ওরা সন্তুষ্ট থাকে তবেই আমরা ওদের বন্ধু । নন্দিনী । তবে কি এ-লোকটা ওর সীমাবদ্ধ প্রাণ নিয়ে এই-রকম আধমরা হয়েই পড়ে থাকবে । গোসাই। পড়েই বা থাকবে কেন। কী বল সর্দার । সর্দার। সে তো ঠিক । পড়ে থাকতে দেব কেন । এখন থেকে নিজের জোরে চলবার ওর দরকারই হবে না। আমাদেরই জোরে চালিয়ে নিয়ে বেড়াব। ওরে গৰ্জ্জু। পালোয়ান। কী প্রভু। |গোসাই । হরি হরি, এরি মধ্যে গলা বেশ-একটু মিহি হয়ে এসেছে, মনে হচ্ছে, আমাদের নামকীর্তনের দলে টেনে নিতে পারব। সর্দার । হ-ক্ষ পাড়ার মোড়লের ঘরে তোর বাসা হয়েছে, চলে যা সেখানে । নন্দিনী । ওকি কথা। চলতে পারবে কেন । সর্দার । দেখো নন্দিনী, মানুষ-চালানোই আমাদের ব্যবসা । আমরা জানি, মানুষ যেখানটাতে এসে মুখ থুবড়ে পড়ে, জোরে ঠেলা দিলে আরো খানিকটা যেতে পারে। যাও গৰ্জ্জু। পালোয়ান । যে আদেশ । নন্দিনী। পালোয়ান, আমিও যাচ্ছি মোড়লের ঘরে । সেখানে তো তোমাকে দেখবার কেউ নেই। পালোয়ান। না না, থাক, সর্দার রাগ করবে। নন্দিনী । আমি সর্দারের রাগকে ভয় করি নে। পালোয়ান । আমি ভয় করি, দোহাই তোমার, অামার বিপদ বাড়িয়ে না । [ প্রস্থান নন্দিনী । সর্দার, যেয়ে না, বলে যাও আমার বিশুপাগলকে কোথায় নিয়ে গেছ । সর্দার। আমি নিয়ে যারার কে । বাতাস নিয়ে যায় মেঘকে, সেটাকে যদি দোষ মনে কর, খবর নাও বাতাসকে কে দিয়েছে ঠেলা ।