পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তকরবী به موارها চাবুক তৈরী সেই রশির মুতো দিয়েই ওদের গোসাইয়ের জপমালা তৈরী। যখন ঠাকুরের নাম জপ করে তখন সে-কথা ওরা ভুলে যায়, কিন্তু ঠাকুর খবর রাখেন । * নন্দিনী । আমাকেও এমনি করে তোমার সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যাক, ভাই আমার । তোমার এই মার আমিও যদি কিছু না পাই তবে আজ থেকে মুখে অন্ন রুচবে बा । কিশোর। বিশু, আমি যদি চেষ্টা করি নিশ্চয় ওরা তোমার বদলে আমাকে নিতে পারে। সেই অনুমতি করে তুমি । বিশু । এ-যে তোর পাগলের মতো কথা । কিশোর। শাস্তিতে তো আমাকে বাজবে না, আমার বয়স অল্প, আমি খুশী হয়ে সইতে পারব। f নন্দিনী । আহা, না কিশোর, ও-কথা বলিস নে । কিশোর। নন্দিনী, আমি আজ কামাই করেছি, ওরা তা টের পেয়েছে। আমার পিছনে ডালকুত্ত লাগিয়েছে। তারা যে অপমান করবে, এই শাস্তি তার থেকে অামাকে বাচাবে । বিশু। না কিশোর, এখনো ধরা পড়লে চলবে না। একটা বিপদের কাজ করবার আছে। রঞ্জন এখানে এসেছে, যেমন করে পারিস তাকে বের করতে হবে । সহজ নয় । কিশোর। নন্দিনী, তা-হলে বিদায় নিলুম। রঞ্জনের সঙ্গে দেখা হলে তোমার কোন কথা তাকে জানাব। নন্দিনী । কিছু না। তাকে এই রক্তকরবীর গুচ্ছ দিলেই আমার সব কথা জানানো হবে । [ কিশোরের প্রস্থান বিশু। এইবার রঞ্জনের সঙ্গে তোমার মিলন হ’ক । নন্দিনী । মিলনে আমার আর মুখ হবে না। এ-কথা কোনোদিন ভুলতে পারব না যে, তোমাকে শূন্যহাতে বিদায় দিয়েছি। আর ওই-যে বালক কিশোর, ও আমার কাছ থেকে কী বা পেলে । বিশু । মনে যে-আগুন জালিয়ে দিয়েছ, তাতে ওর আস্তরের ধন সব প্রকাশ পেয়েছে। আর কী চাই। মনে আছে, সেই নীলকণ্ঠের পালক রঞ্জনের চুড়ায় পরিয়ে দিতে হবে ? t নন্দিনী। এই-যে রয়েছে আমার বুকের আঁচলে।