পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় &२७ मझौ রে মহুয়া, নামখানি গ্রাম্য তোর, লঘু ধ্বনি তার, প্রাণ তোর উচ্চশির রহে রাজকুলবনিতার মর্যাদা বহিয়া। হেরিয়াছি তোরে শালবীথিকায় বনস্পতিসভা-মাঝে, সজ্জা তোর প্রচুর ছায়ায় লুষ্ঠিত তৃণের পরে ; বিপুল পল্লবঘন স্তরে আগন্তুক বিহঙ্গমে সংগীতগুণীর সমাদরে ডেকে নিস উদার আশ্রয়ে। উঠে যবে হুহুংকার ক্রুদ্ধ কালবৈশাখীর, গর্ব জাগে শাখাপ্রশাখার, তর্জনে গর্জিয় উঠে দৃপ্তবলে রাখে আশ্ৰিতেরে। অনাবৃষ্টিশীর্ণ দিনে বনের প্রাঙ্গণ হতে ফেরে বুভূক্ষু অতিথি যবে, বন্য নারী আসে তোর পথে, দুর্ভিক্ষের ভিক্ষঞ্জলি পুর্ণ করি দিস সদাত্রতে। যে-বধূরে ভাবি মনে, কানে-কানে কহি আমি তোরে— যদি তার দেখা পাই ডাকিব মহুয়া নাম ধ’রে। ২ সেপ্টেম্বর ১৯২৮ পাণ্ডুলিপিতে-প্রাপ্ত বর্জনচিহ্নঙ্কিত প্রথম পাঠ। বিরহ ও অন্তধান শঙ্কিত আলোক নিয়ে দিগন্তে উদিল শীর্ণ শশী, অরণ্যে শিরীষশাখে অকস্মাৎ উঠিল উচ্ছ্বসি বসন্তের হাওয়ার খেয়াল,— ব্যথায় নিবিড় হল শেষ কথা কহিবার কাল। । গোধূলির গীতিশূন্ত স্তম্ভিত প্রহরখানি বেয়ে গেলে তুমি দূর পথে, নিনিমেষ রহিলাম চেয়ে । ধীরে ধীরে বনান্তে মিলালে৷ প্রান্তরের প্রান্ততটে অস্তশেষ ক্ষীণ পাংশু আলো ।