পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহুয়া পাঠায় নূতন জাগরণী, অতি মৃদু শিহরণী বাতাসের গায়ে ; পাখির কুলায়ে অস্পষ্ট কাকলি ওঠে আধোজাগা স্বরে, স্তম্ভিত আগ্রহভরে অব্যক্ত বিরাট অাশা ধ্যানে মগ্ন দিকে দিগন্তরে,— ও কোন তরুণ প্রাণে করিয়াছে ভর, অন্তগুঢ় সে-প্রহর আত্ম-অগোচর । চিত্ত তার আপনার গভীর অস্তরে নিঃশব্দে প্রতীক্ষা করে পরিপুর্ণ সার্থকতা লাগি । সুপ্তি-মাঝে প্রতীক্ষিয়া আছে জাগি নির্মল নিৰ্ভয় কোন দিব্য অভু্যদয় । কোন সে পরম মুক্তি, কোন সেই আপনার দীপ্যমান মহা অাবিষ্কার । প্রভাতমহিমা ওর সম্বত রয়েছে নিশ্চেতনে, তাহারি আভাস পাই মনে । অামি ওই রথশব্দ শুনি, সোনার বীণার তারে সংগীত আনিছে কোন গুণী । জাগিবে হৃদয়, ভুবন তাহার হবে বাণীময় ; মানসকমল একমন। নবোদিত তপনের করিবে প্রথম অভ্যর্থনা । জাগিবে নূতন দিবা উজ্জল উল্লাসে বর্ণে গন্ধে গানে প্রাণে মহোৎসবে তার চারিপাশে । নিরুদ্ধ চেতনা হতে হবে চু্যত লালসা-আবেশে জড়ীভূত স্বপ্নের শৃঙ্খলপাশ । Գ3»