পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহুয়া তেমনি করে যখন কতু আমার পানে চাবে মৰ্মভেদী কৌতুহলের আঁখি, বিধাতা যা লুকান লাজে দেখতে-ষে তাই পাবে মোর রচনায় যা আছে তার বাকি । আমার মাঝে তোমার অগোচরে আদিম যুগের গোপন গভীর স্তরে অপুর্ণতা রয়েছে অন্তরে, স্বাক্ট আমার অসমাপ্ত আছে, সামনে এলে মরি-যে সেই ডরে । ভাঙাচোরা চক্ষে পড়ে পাছে । তোমার প্রাণে কোনোখানে নাই কি মায়ার ঠাই মত্ততাহীন তত্ত্বপরপারে, যেথায় তীক্ষু চোখের কোনো প্রশ্ন জেগে নাই অসতর্ক মুক্ত হৃদয়স্বারে ? যেথায় তুমি দৃষ্টিকর্তা নহ, স্বষ্টিকর্তা স্বষ্টি লয়ে রহ, যেথা নানা বর্ণের সংগ্ৰহ, যেথা নানা মুতিতে মন মাতে, যেথা তোমার অতৃপ্ত আগ্রহ আপনভোলা রসের রচনাতে । সেথায় আমি যাব যখন চৈত্ররজনীতে বনের বাণী হাওয়ায় নিরুদ্দেশা, চাদের আলোয় ঘুম-হারানো পাখির কলগীতে পথ-হারানো ফুলের রেণু মেশা । দেখবে আমায় স্বপন-দেখা চোখে, চমকে উঠে বলবে তুমি, ‘ও কে, br>