পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उठा 2 8 dò মধ্য পরীক্ষা বাংলাভাষা ও সাহিত্য প্রাকৃত জগৎ আর সচেতন প্রাণীর জগৎ দুই স্বতন্ত্র পদার্থ। এই প্রাণীর জগৎ ইন্দ্ৰিয়বোধের ভিতর দিয়ে চেতনের কাছে বিশেষত্ব লাভ করে। এই বোধের জগৎ প্রাকৃত জগতের বিপরীত বললেই হয়। প্রকৃতিতে যা বৃহৎ আমাদের কাছে তা ছোটো, যা সচল তা আচল, যা ভারহীন তা ভারবান, যা বৈদ্যুতের আবর্তনমাত্র আমরা তাকে কঠিন তরল ও বায়ব পদার্থক্লপে ব্যবহার করি। যে প্রাকৃত শক্তি আমাদের কাছে সব চেয়ে মূল্যবান, যা বিশ্বপরিচয়ের প্রথম ভূমিকা ক’রে দিয়েছে, যা আমাদের বোধের কাছে আলোরূপে প্রতীয়মান, তার গতিবেগ এবং তার গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে বিশ্বপরিচয় গ্রন্থে যা পড়েছ তার আলোচনা করো।— (ক) আলো যে চলে তার সব চেয়ে নিকটের প্রমাণ পেয়েছি কোথা থেকে { (খ) মানুষ আলোর গতিভঙ্গির কী খবর আবিষ্কার করেছে। (গ) আলোকের ধারা একটি নয়, অনেকগুলি, সে সম্বন্ধে বলবার কী আছে। (ঘ) বিশ্বব্যাপী তেজের কাপন সম্বন্ধে কী বলা হয়েছে। (ঙ) সূর্যালোকের ভিন্ন ভিন্ন রশ্মি সম্বন্ধে বক্তব্য কী। অদৃশ্য রশ্মির কথা বলে। (চ) মৌলিক পদার্থের উদ্দীপ্ত গ্যাসের বর্ণলিপি থেকে তার পরিচয় পাবার বিবরণ। (ছ) যদিও সূর্যের সমষ্টিবদ্ধ আলো সাদা, তবু নানা জিনিসের নানা রঙ দেখি কেন। ১। বিশ্বের সূক্ষ্মতম মৌলিক ও যৌগিক উপাদানের অর্থ কী। ২। এক কালে অ্যাটম অর্থাৎ পরমাণুকে জগতের সূক্ষ্মতম অবিভাজা উপাদান বলে মনে করা হত । অবশেষে তাকেও বিভাগ ক'রে কী পাওয়া গেল। যা পাওয়া গেল তার স্বরূপ কী। দুই জাতের বৈদ্যুতের কথা। ৩। অণু-পরমাণুগুলি যতই ঘোষাৰ্ঘেষি ক'রে থাকে। তবু তাদের মাঝে মাঝে ফাক থাকে। কেন ফাক থাকে। ৪। আমরা যে তাপ অনুভব করি তা কিসের থেকে। ৫। হাইড্রোজেন গ্যাসের পরমাণুতে যে দুটি বৈদ্যুতিকণা আছে তাদের ভিন্নত কী। ৬! ইলেকট্রিসিটির প্রসঙ্গে যে চার্জ কথার ব্যবহার হয় দৃষ্টান্তসহ তার অর্থ ব্যাখ্যা করো। ৭। ইলেকট্রোনের আবর্তন সম্বন্ধে কোনু দুই মত আছে। ৮। একদা মৌলিক পদার্থের খ্যাতি ছিল যে তাদের গুণের নিত্যতা আছে। কোন বিশেষ ধাতুর সাক্ষে তা অপ্ৰমাণ হয়ে গেল। সে সাক্ষ্য কী রকম। ৯। যে-সব ধাতুকে তেজস্ক্রিয় বলা হয়েছে তাদের স্বভাব কী। ১০ । ইলেকট্রোন বা প্রোটােন আপনি স্বজাতীয় বৈদ্যুতিকণার সঙ্গ কিছুতেই স্বীকার করে না। কিন্তু কোনো পরমাণুর কেন্দ্ৰস্থলে একাধিক প্রোটোন ঘনিষ্ঠভাবে থাকে, তার থেকে কী প্ৰমাণ হয়েছে। ১১। কসমিক রশ্মির তথ্য। ১। নীহারিকার বিবরণ। ২। পৃথিবী থেকে নক্ষত্ৰলোকের দূরত্ব দূস্পরিমেয়। সংখ্যাসংকেতে তার গণনা লিপিবদ্ধ করতে হলে জায়গা জোড়ে। জ্যোতিষ্কশাস্ত্রে কী উপায়ে তাদের প্রকাশ করা হয়।