পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞপ্তি রবীন্দ্র-রচনাবলীর একখানি পূর্ণাঙ্গ সূচীর প্রয়োজন বহু দিন হইতে ছিল। রচনাবলীর সপ্তবিংশ খণ্ড প্ৰকাশের পর এই কার্যে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব হয়। বর্তমান সূচী-খণ্ডে রবীন্দ্র-রচনাবলীর সাতাশটি এবং অচলিত দুটি খণ্ডের অন্তর্গত সকল পূর্ণাঙ্গ রবীন্দ্র-রচনার সূচী বৰ্ণানুক্রমে দেওয়া হইল। এই সূচী দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। প্রথম বিভাগটি প্রথম ছত্রের সূচী : ইহাতে রচনাবলীর অন্তর্গত পূর্ণাঙ্গ কবিতা বা গানের প্রথম ছত্র, উক্ত রচনার শিরোনাম, রচনাটি কোন গ্রন্থে এবং রচনাবলীর কোন খণ্ডে কত পৃষ্ঠায় মুদ্রিত তাহার নির্দেশ আছে। দ্বিতীয় বিভাগটি শিরোনাম-সূচী : রবীন্দ্র-রচনাবলীর অন্তর্গত কবিতা গান গল্প প্ৰবন্ধ প্রভৃতি যাবতীয় রচনার শিরোনাম-অনুযায়ী-সূচী ইহাতে সংকলিত। পাঠকদের সুবিধার্থে বর্তমান মুদ্রণে আরো কয়েকটি সূচী যথা—ভূমিকা-সূচী, খণ্ড-সূচী, গ্রন্থ-সূচী, ও ছোটােগল্প-সূচী যুক্ত হইল। সূচীগুলি যথাসম্ভব বর্ণানুক্রমে সাজানো হইয়াছে। বাংলা উচ্চারণে কোনো পার্থক্য না থাকায় বগীয় ও অন্তঃস্থ ব একসঙ্গে দেওয়া হইয়াছে। কিন্তু ব-ফলার উচ্চারণ b-এর তুল্য হইলে ফ্য ও ভ -এর মধ্যে দেওয়া হইয়াছে। যথা- ‘সম্বন্ধে কার’ বা ‘সংবরণ সম্পূর্ণ'-র পরে বসিয়াছে (পৃ ৭০৮)। কিন্তু যে ব-ফলা w বা দ্বিরুক্ত বর্ণের তুল্য, তাহা ল-এর পর আছে। যথা-‘শ্বশুরবাড়ির গ্রাম'। 'শ্লথপ্ৰাণ দুর্বলের স্পর্ধা'-র পরে বসিয়াছে (পৃ ৬৩৩)। তা ছাড়া ড = ড, ঢ=ঢ়, য়=য এই সাধারণ নিয়ম মানা হইয়াছে। গ্ৰন্থ-মধ্যে যে বানানই থাক, প্রথম ছত্রের সূচীতে “ঐ বর্ণটি "ওই বানানে তদুপযুক্ত স্থানে বসানো হইয়াছে। যথা—“ওই তোমার ঐ বাশিখানি' (প ৫৬০)। শিরোনাম-সূচীতে অবশ্য “ঐ বর্ণটিকেই রাখিতে হইয়াছে। যথা—“ঐতিহাসিক উপন্যাস', 'ঐশ্বৰ্য (পৃ ৬৫৮)। বৰ্ণানুক্রমে সাজানো হইলেও সমাসবদ্ধ পদগুলিকে মূল পদের পরে বসানো হইয়াছে। যথা—“আকাশতলে উঠল। ফুটো’, ‘আকাশ, তোমার সহাস উদার দৃষ্টি বা ‘আকাশের দূরত্ব যে চোখো'-র পরে বসিয়াছে (পৃ. ৫৩৯)। অনুরূপ, একটি পদকে স্বতন্ত্রভাবে ধরিয়া প্ৰত্যয়যুক্ত পদ হইতে আলাদা করিয়া সাজানো হইয়াছে। অর্থাৎ ‘কাল রাতে দেখিানু, স্বপন’, ‘কাল রাত্রে বাদলের দানোয়-পাওয়া’ প্রভৃতি ‘কালকে রাতে মেঘের গরজনে'-র পূর্বে বসিয়াছে (পৃ. ৫৬৬ )। রবীন্দ্র-রচনায় 'কি' এবং ‘কী' স্বতন্ত্র মর্যাদা পাওয়ায় গ্রন্থমধ্যে যেখানে যে বানান আছে প্ৰথম ছত্রের সূচী বলা হইলেও সকল ক্ষেত্রে প্রথম ছত্রই দেওয়া হয় নাই। অর্থবোধের সুবিধার জন্য কোথাও দ্বিতীয় ছত্র বা ছত্রাংশও রাখা হইয়াছে; স্থান-সংকুলানের অনুরোধে কোথাও-বা প্ৰথম ছত্রের শেষাংশ বৰ্জিত হইয়াছে। যে-সকল কবিতা বা গান একাধিক গ্রন্থে মুদ্রিত সেগুলির উল্লেখে প্ৰথম ছত্রের পুনরাবৃত্তি না করিয়া ফাক রাখা হইয়াছে। দ্র ‘অলকে কুসুম না দিয়ে (পূ৫৩৭)“আজ তোমারে দেখতে এলেম (পৃ. ৫৪০), ‘বসন্তাপ্ৰভাতে এক মালতীর ফুল' (পৃ ৬০৯)। শিরোনামহীন রচনার ক্ষেত্রে '-' চিহ্ন আছে। একই কবিতা বা গান একাধিক গ্রন্থে আছে- কোথাও শিরোনাম নাই, সে ক্ষেত্রে প্রথমটিতে S \o