পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমালোচনা と > ভাবগুলি ফুটিয়া উঠিতে পারে না। যে-সকল বিশ্বাস তাহদের হৃদয়ের অতি প্ৰিয় সামগ্ৰী, পাছে সেগুলিকে লইয়া যুক্তির কাক-চিলগুলা ছেড়াছড়ি করিতে আরম্ভ করে এই ভয়ে তাহাদিগকে হৃদয়ের অন্ধকারের মধ্যেই লুকাইয়া রাখেন; তাতারা আর সর্যকিরণ পায় না; তাহারা ক্রমশই রুগণ অবস্থা প্ৰাপ্ত হইয়া কুসংস্কারের আকার ধারণ করে! কথায় কথায় যে-সকল মত গঠিত হইয়া উঠিল, তাহারা চারি থাকিলে প্ৰাণের উদারতা সংকীর্ণ হইতে থাকে। আমি কাল্পনিক লোক, আমার জগৎ লাখেরাজ জমি, আমি কাহাকেও এক পয়সা খাজনা দিই না, অথচ জগতের যেখানে ইচ্ছা বিচরণ করিতে পারি, যাহা ততটুকু জমি তোমার, যখনি খাজনা দিতে না পরিবে তখনি তোমার জমি নিলামে বিক্রয় হইয়া যাইবে। তোমার তার্কির বন্ধু পাশে বসিয়া ক্ৰমাগত তোমার জমি সর্বে কবিতেছেন ও তাহাব সীমাবন্দী করিয়া দিতেছেন; প্রতিদিন এক বিঘা, দুই বিঘা কবিয়া তোমার অধিকার কমিয়া আসিতেছে। আমি যখন রাত্রিকালে অসংখ্য তারার দিকে চাহিয়া আমার অনন্ত জীবন কল্পনা করিতেছি, জগতের এক সীমা হইতে সীমান্তর পর্যন্ত আমার প্রাণের বিচরণভূমি হইয়া গিয়াছে, আমি যখন নূতন নূতন অনন্ত বৈচিত্রা দেখিতে দেখিতে অনন্ত পথে যাত্ৰা করিয়াছি, বিচিত্র জগৎপূর্ণ অনন্ত আকাশের মধ্যে যখন আমাক জীবনের আদি অন্ত হারাইয়া গিয়াছে’- যখন আমি মনে করিতেছি। এই কাঠাতিনেক জমির চার দিকে পাচিল তুলিয়া এইখানেই ধূলির মধ্যে ধূলিমুষ্টি হইয়া থাকা আমার চরম গতি নহে eDuuBB BBE EDAu u 0DD Buu BuSSDSESDS KuDuDBD SDSSg BuBue eueuS SDB DBB BBB GSuBB BBBSBBB SYS SBLBB BDBBSK DDBBS BB DuB Be BBB BBB BBB পবমানন্দে তুমি ডুবিয়া মরো ; তখন তোমাকে কৈফিয়ত দিতে আমাক ইচ্ছাও থাকে না, অবসবও থাকে না। তুমি যে আমার আতখানি কাডিতে চাও তাহার বদলে আমাকে কী দিতে পার % তোমার আছে কী? আমি যে জায়গায় বেড়াইতেছিলাম তুমি তাহার কিছু ঠিকানা কবিয়াছ ? সেখানকার মেরুপ্রদেশের মহাসমুদ্রে তোমার এই বুদ্ধির ফুটো নারিকেল-মালায় চড়িয়া কখনো কি আবিষ্কার করিতে বাহির হইয়াছিলে ? পৃথিবীর মাটির উপর তুমি বেল পাতিয়াছ, এই ৮০০০ মাইলের ভূগোল তুমি ভালোরূপ শিখিয়াছ, অতএব যদি আমি ম্যাডাগাস্কারের জায়গায় কামস্কটিকা কল্পনা কবি, তাহা হইলে নাহয় আমাকে তোমাদের স্কুলের এক ক্লাস নামাইয়া দিয়ে, কিন্তু যে অনন্তের মধ্যে তোমাদের ঐ রেলগাড়িটা চলে নাই, কোনো কালে চলিবে বলিয়া ভরসা নাই, সেখানে আমি একটু হাওয়া খাইয়া বেডাইতেছি, ইহাতে তোমাদের মহা ভারত কি অশুদ্ধ হইল * তোমরা তো আবশ্যকবাদী, আবশ্যকের এক ইঞ্চি এদিকে ওদিকে যাও না। তোমাদেরই আবশ্যাকের দোহাই দিয়া তোমাদিগকে জিজ্ঞাসা করি, আমি যে অনন্ত-রাজ্যে বিচরণ করিতেছি, যুক্তির কারাগারে পৃবিয়া আমাকে সে রাজ্য হইতে বঞ্চিত করিবার আবশ্যকটা কী? যাহাতে মানুষের সুখ, উন্নতি, উপকার হয়, তাহাই তো সকল জ্ঞানের সকল কার্যের উদ্দেশ্য ? আমি যে অসীম সুখে মগ্ন হইতেছিলাম, আমার যে প্ৰাণের অধিকার বাড়িতেছিল, আমার যে প্ৰেম জগতে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িতেছিল, ইহা সংক্ষেপ করিয়া দিয়া তোমাদের কী প্রয়োজন সাধন করিলে? মানুষ্যের কী উপকার করিলে, কী সুখ বাড়াইলে ? মানুষের সুখের আশা, কল্পনার অধিকার এতটাই যদি হ্রাস হয়, তবে তোমার এই মহামূল্য যুক্তিটা কিছুক্ষণের জন্য শিকায় তোলা থাক-না কেন ? যুক্তির মানে কী? যোজনা করা তো? একটার সঙ্গে আর একটার যোগ করা। পতনের সঙ্গে হাত পা ভাঙার যোগ আছে, সুতরাং পতনের পর হাত পা ভাঙা যুক্তিসিদ্ধ। চুপ করিয়া বসিয়া থাকিলে যে হাত পা ভাঙিবে ইহা যুক্তিসিদ্ধ নহে, কারণ, এই কার্যকারণের মধ্যে একটা যোগ পাওয়া যায় না। কিন্তু একটু ভাবিলেই দেখা যায়, আমরা কেবল কতকগুলি ঘটনাই দেখিতে বা জানিতে পাই, কোন কার্যকারণের যোগ আমাদের চোখে পড়ে! ঈথর-নামক সূক্ষ্ম পদার্থে ঢেউ উঠিলে আমরা যে আলো