পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ Կ রবীন্দ্র-রচনাবলী যে-সকল সত্য বুঝাইতে পারে না বলিয়া হাল ছাডিয়া দিয়াছে, কবিতা সেই-সকল সত্য বুঝাইবার ভার নিজস্কন্ধে লইয়াছে। এই নিমিত্ত স্বভাবতই যুক্তির ভাষা ও কবিতার ভাষা স্বতন্ত্র হইয়া পডিয়াছে। অনেক সময় এমন হয় যে শত সহস্র প্রমাণের সাহায্যে একটা সত্য আমরা বিশ্বাস করি মাত্ৰ, কিন্তু আমাদের হৃদয়ে সে সতের উদ্রেক হয় না। আবার অনেক সময়ে একটি সত্যের উদ্ৰেক হইয়াছে, শত সহস্ৰ প্ৰমাণে তাহা ভাঙিতে পারে না ; এক জন নৈয়ায়িক যাহা পারেন না এক জন বাগী। তাহা পারেন। নৈয়ায়িক ও বাঙ্গীতে প্ৰভেদ এই— নৈয়ায়িকের হস্তে যুক্তির কুঠার ও বাক্ষ্মীর হস্তে কবিতার চাবি। নৈয়ায়িক কোপের উপর কোপ বসাইতেছেন, কিন্তু হৃদয়ের দ্বারা ভাঙিলি না; আর বাগ্মী কোথায় একটু চাবি ঘুরাইয়া দিলেন, দ্বার খুলিয়া গেল। উভযের অস্ত্ৰ বিভিন্ন! আমি যাহা বিশ্বাস করিতেছি তোমাকে তাঁহাই বিশ্বাস করানো, আর আমি যাহা অনুভব করিতেছি। তোমাকে তাহাই অনুভব করানো— এ দুইটি সম্পণ স্বতন্ত্র ব্যাপার। আমি বিশ্বাস করিতেছি একটি গোলাপ সুগোল, আমি তাহার চারি দিক মাপিয়া-জুকিয়া তোমাকে বিশ্বাস করাইতে পার্কি যে গোলাপ সূগোল— আর, আমি অনুভব কবইতে পাবি না যে গোলাপী সুন্দর ; তখন কবিতার সাহায্য অবলম্বন BBBSDL DBS SyBBuBuBB BBeeBuB eueu D S eBBeHDuu BBueuS S SeDS GLLLLS SBBSBukBu KSSeEe SuSDS SDDS BBBBLJ S J0BBBB uBDDD S YBBDBLBBB DkkDkDBDB BDBD S SLB BK KBBMe BBBJS JLSDAD BBSuB SeS eSHBeHDSD B00BDB BuueBB BBB BBB BDBuB BDSBBSDD BB SsBS BB BDuDSDS kukuBS BDSJBD Di DkBS B DB uDDBu BDS BBBSuD BBB SBB BuuBB BB BBSDS DBS Bue BB BDDB DS uJSDSS HDuHSBBGBSDD অসীম কথা প্ৰকাশ করে— কবিতা সেই-সকল যুক্তি বা ভক্ত করে সচরাচর কথোপকথনে যুক্তির যতটুকু আবশ্যক তাহারই চুভােস্ত আবশ্যক দর্শনে বিজ্ঞানে এই uDD BueBD BBOLDBOuBB BB BBBSBBBBBDB DBBB DBBBJ0 BuBBDODBB SLS0S S S BDBBSBBBBEBDStSDkBS BBDDS qLSLLke বিজ্ঞান লিখিতে গেলে যুক্তির বাধুনি আলগা হইয়া যায়! এই নিমিত্ত খাটি নিভাঁজ যুক্তিশঙ্খলা বক্ষণ করিবার জন্য এক প্রকার চুল-চেরা তীক্ষা পরিষ্কার ভাষা নির্মাণ করিতে হয়। কিন্তু তথাপি সে ভাষা গদা বৈ আর কিছু নয় ; কারণ, যুক্তির ভাষাই নিরলংকার সরল পরিষ্কার গদা । আর, আমরা সচরাচর কথোপকথনে যতটা অনুভব প্রকাশ করি তাহারই চডািস্ত প্ৰকাশ করিতে হইলে কথোপকথনের ভাষা হইতে একটা স্বতন্ত্র ভাষার আবশ্যক করে। তাহাই কবিতার ভাষাপদ্য। অনুভবের ভাষাই অলংকার্যময়, তুলনাময় পদা। সে আপনাকে প্রকাশ করিবার জনা আকুবাকু করিতে থাকে।— তাহার যুক্তি নাই, তর্ক নাই, কিছুই নাই। আপনাকে প্রকাশ করিবার জন্য তাহার তেমন সোজা রাস্তা নাই। সে নিজের উপযোগী নূতন রাস্তা তৈরি করিয়া লয় ; যুক্তির অভাব মোচন করিবার জন্য সৌন্দর্যের শরণাপন্ন হয়! সে এমনি সুন্দর করিয়া সাজে যে, যুক্তির অনুমতিপত্র না থাকিলেও সকলে তাহাকে বিশ্বাস করে। এমনি তাহার মুখখানি সুন্দর, যে, কেহই তাহাকে “ কে” “কী বৃত্তান্ত” “কেন” জিজ্ঞাসা করে না, কেহ তাহাকে সন্দেহ করে না, সকলে হৃদয়ের দ্বার খুলিয়া ফেলে । সে সৌন্দর্যের বলে তাহার মধ্যে প্ৰবেশ করে। কিন্তু নিরলংকার যৌক্তিক সত্যকে প্ৰতি পদে বহুবিধ প্ৰমাণ-সহকারে আত্মপরিচয় দিয়া আত্মস্থাপনা করিতে হয়, দ্বারার সন্দেহ ভঞ্জন করিতে হয়, তবে সে প্রবেশের অনুমতি পায়। অনুভবের ভাষা ছন্দোবদ্ধ। পৃৰ্ণিমার সমুদ্রের মতো তালে তালে তাহার হৃদয়ের উত্থান পতন হইতে থাকে, তালে তালে তাহার ঘনঘন নিশ্বাস পডিতে থাকে । নিশ্বাসের ছন্দে, হৃদয়ের উত্থানপতনের ছন্দে তাহার তাল নিয়মিত হইয়া থাকে। কথা বলিতে বলিতে তাহার বাধিয়া যায়, কথার মাঝে মাঝে অশ্রু পড়ে, নিশ্বাস পড়ে, লজ্জা আসে, ভয় হয়, থামিয়া যায়। সরল যুক্তির এমন তাল নাই, আবেগের দীর্ঘনিশ্বাস পদে পদে তাহাকে বাধা দেয় না। তাহার ভয় নাই, লজ্জা নাই, কিছুই নাই। এই নিমিত্ত, চূড়ান্ত যুক্তির ভাষা গদ্য, চুডান্ত অনুভবের ভাষা পদ্য। আমাদের ভাবপ্রকাশের দুটি উপকরণ আছে- কথা ও সুর। কথাও যতখানি ভাব প্ৰকাশ করে, সুরও প্রায় ততখানি ভাব প্ৰকাশ করে। এমন-কি, সুরের উপরেই কথার ভাব নির্ভর করে। একই কথা নানা সুরে নানা অর্থ প্ৰকাশ করে। অতএব ভাবপ্রকাশের অঙ্গের মধ্যে কথা ও সুর উভয়কেই