পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brや) রবীন্দ্র-রচনাবলী কৃপণতার পাথর-ঠেল| বিষম বন্যাধারা লোপ করে দেয় নিঃস্ব মাটির নিস্ফলা চেহার । জমে-ওঠা মৃত বালির স্তর ভাসিয়ে নিয়ে ভর্তি করে লুপ্তির গহবর ; পলিমাটির ঘটায় অবকাশ, মরুকে সে মেরে মেরেই গজিয়ে তোলে ঘাস । দুবল খেতের পুরানো সব পুনরুক্তি যত অর্থহারা হয় সে বোবার মতো । অন্তরেতে মৃত বাইরে তবু মরে না যে অন্ন ঘরে করেছে সঞ্চিত— ওদের ঘিরে ছুটে আসে অপব্যয়ের ঝড়, _ ভাড়ারে ঝণপ ভেঙে ফেলে, চালে ওড়ায় খড় । অপঘাতের ধাক্কা এসে পড়ে ওদের ঘাড়ে, জাগায় হাড়ে হাড়ে । হঠাৎ অপমৃত্যুর সংকেতে নূতন ফসল চাষের তরে আনবে নুতন থেতে। শেষ পরীক্ষা ঘটবে মুদৈবে— জীর্ণ যুগের সঞ্চয়েতে কী যাবে, কী রইবে । পালিশ-করা জীর্ণতাকে চিনতে হবে আজি, দামামা তাই ঐ উঠেছে বাজি । ৩১ মে, ১৯৪০ ኔጭ সেই পুরাতন কালে ইতিহাস যবে সংবাদে ছিল না মুখরিত নিস্তব্ধ থ্যাতির যুগে— আজিকার এইমতে প্রাণযাত্রাকল্পোলিত প্রাতে র্যারা যাত্রা করেছেন মরণশঙ্কিল পথে