পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ૨ર রবীন্দ্র-রচনাবলী মম মন-উপবনে চলে অভিসারে আঁধার রাতে বিরহিণী রক্তে তারি নুপুর বাজে রিনি রিনি । দুরু দুরু করে হিয়া, মেঘ উঠে গরজিয়া, ঝিল্লি ঝনকে ঝিনি ঝিনি । মন মন-উপবনে ঝরে বারিধার। গগনে নাহি শশী তার । বিজুলির চমকনে মিলে আলে| খনে খনে, খনে খনে পথ ভোলে উদাসিনী । নটরাজ। অরণ্য অজি গীতহীন, বর্ষাধারায় নেচে চলেছে জলস্রোত বনের প্রাঙ্গণে— যমুনা, তোমরা তারই প্রচ্ছন্ন স্বরের মৃত্য দেখিয়ে দাও মহারাজকে । नों> রাজ। তোমার পাল বোধ হচ্ছে শেষের দিকে পেীছল— এইবার গভীরে নামে। যেখানে শাস্তি, যেখানে স্তব্ধতা, যেখানে জীবনমরণের সম্মিলন । নটরাজ। আমারও মন তাই বলছে । বজ্রে তোমার বাজে বাশি সে কি সহজ গান । সেই মুরেতে জগিব আমি, দাও মেরে সেই কান ৷ ভুলব না আর সহজেতে, সেই প্রাণে মন উঠবে মেতে মৃত্যুমাঝে ঢাকা আছে যে অন্তহীন প্ৰাণ । সে ঝড় যেন সই আনন্দে চিত্তবীণর তারে, সপ্তসিন্ধু দিক-দিগন্ত জাগাও যে ঝংকারে । আরাম হতে ছিন্ন ক’রে সেই গভীরে লও গে। মোরে অশান্তির অস্তরে যেথায় শান্তি সুমহান ॥ নটরাজ । মহারাজ, রাত্রি অবসান প্রায় । গানে আপনার অভিনিবেশ কি ক্লান্ত হয়ে এল । to: রাজ। কী বলে, নটরাজ ! মন অভিষিক্ত হতে সময় লাগে। অন্তরে এখন রস প্রবেশ করেছে। আমার সভাকবির বিরস মুখ দেখে আমার মনের ভাব অনুমান কোরো না। প্রহর গণনা ক’রে আনন্দের সীমানির্ণয় ! এ কেমন কথা !