পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| بهجه، يا তিন সঙ্গী ২৩৫ ছেড়া, কিন্তু বাজারে সেও বিকেীয়, অল্প দামে ના জিনিসের পুরে দাম জিতে পারে ক'জন ধনী।” . . . . . . “তুমি পার অভী, নিশ্চয় পার, পুরে ল্য আছে তোমার হাতে। কিন্তু অদ্ভুত । তোমার স্বভাব, ছেড়া জিনিসে, ময়ল জিনিসে তোমাদের আর্টিস্টের একটা কৌতুক । আছে, কৌতুহল আছে। স্বসম্পূর্ণ fèfùs CœfùfT *fCa picturesque si* I* থাক গে এ-সব বৃথা তর্ক। আপাতত ক্রাইসলারের পালাটা যতদূর সম্ভব এগিয়ে দেওয়া যাক।” ' ' এই ব’লে চৌকি ছেড়ে বিভ। পাশের ঘরে চলে গেল। ফিরে এসে অতীকের হাতে একতাড়া নোট দিয়ে বললে, “এই নাও তোমার ইনস্পিরেশন, কোম্পানি- “ বাহাদুরের মার্কামার। কিন্তু তাই ব’লে তোমার ওই ঘড়ি আমাকে নিতে বোলে। না ।” চৌকিতে মাথা রেখে অভীক মেঝের উপরে বসে রইল। বিভা দ্রুত পদে তার হাত টেনে নিয়ে বললে, “আমাকে ভুল বুঝে না। তোমার অভাব ঘটেছে। অামার অভাব নেই এমন সুযোগে—” বিভাকে থামিয়ে দিয়ে অভীক বললে, “অভাব আছে আমার, দারুণ অভাব তোমার হাতেই রয়েছে সুযোগ, তা পূরণ করবার। কী হবে টাকায়।” । বিভ। অভকের হাতের উপরে স্নিগ্ধভাবে হাত বুলোতে বুলোতে বললে, “যা পারি নে তার দুঃখ রইল আমার মনে চিরদিন। যতটুকু পারি তার মুখ থেকে কেন আমাকে বঞ্চিত করবে ।” ந் “না না না, কিছুতেই না । তোমারই কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে শীলাকে আমি । গাড়ি চড়িয়ে বেড়াব ? এ প্রস্তাবে ধিক্কার দেবে এই ভেবেছিলুম, রাগ করবে এই ছিল আশা ।” *. “রাগ করব কেন। তোমার দুষ্টুমি কতক্ষণের। এটা সাংঘাতিক শীলার পক্ষে, তোমার পক্ষে একটুও না। এমন ছেলেমান্থষি কতবার তোমার দেখেছি, মনে মনে হেসেছি। জানি কিছুদিনের মতে এ খেলা না হলে তোমার চলে না। এও জানি স্থায়ী হলে আরও অচল হয়। হয়তে তুমি কিছু পেতে চাও, কিন্তু তোমাকে কিছু পাবে এ সইতে পার না ।” “বী, আমাকে তুমি অত্যন্ত বেশি জান তাই এমন ঘোরতর নিশ্চিন্ত থাক। জানতে পেরেছ আমার ভালো লাগে মেয়েদের কিন্তু সে ভালো-লাগা নাস্তিকেরই, তাতে বাধৰনেই। পাথরে গাথ মন্দিরে সে পূজাকে বন্দী করব না। বান্ধবীদের