পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ , রবীন্দ্র-রচনাবলী সঙ্গে গলাগলির গদগদ দৃশ্ব মাঝে মাঝে দেখেছি, সেই বিহবল স্ত্ৰৈণতায় আমার গ৷ কেমন করে। কিন্তু মেয়ের আমার কাছে নাস্তিকের দেবতা, অর্থাৎ আর্টস্টের। আর্টিন্ট খাবি খেয়ে মরে না, সে সাতার দেয়•দিয়ে অনায়াসে পার হয়ে যায়। আমি লোভী নই, আমাকে নিয়ে যে মেয়ে ঈর্ষা করে সে লোভী। তুমি লোভী নও, তোমার নিরাসক্ত মনের সব চেয়ে বড়ো দান স্বাধীনতা।” * ہاکہ বিভা হেসে বললে, “তোমার স্তব এখন রাখেl.। আর্টিস্ট, তোমরা সাবালক শিশু, এবার যে খেলাটা ফেদেছ তার খেলনাটি না-হয় আমার হাত থেকেই নেবে।” “নৈব নৈব চ। আচ্ছ একটা কথা জিজ্ঞাসা করি। তোমার ট্রাক্টদের মুঠে৷ থেকে এ টাকা খসিয়ে নিলে কী করে।” "খোলসা করে বললে হয়তে খুশি হবে না। তুমি জান অমরবাবুর কাছে আমি ম্যাথাম্যাটিক্স শিখছি।” * “সব-তাতেই আমাকে বহু দূরে এড়িয়ে যেতে চাও,বিদ্যেতেও ?” “বোকো না, শোনো। আমার ট্রাষ্ট্রীদের মধ্যে একজন আছেন আদিত্যমামা । নিজে তিনি গণিতে ফস্ট ক্লাস মেডালিস্ট। তার বিশ্বাস, যথেষ্ট মুযোগ পেলে অমরবাৰু দ্বিতীয় রামানুজম্ হবেন। ওঁর কষ। একটুখানি প্রব্লেম আইনস্টাইনকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যা উত্তর পেয়েছিলেন সেটা আমি দেখেছি। এমন লোককে সাহায্য করতে হলে তার মান বাচিয়ে করতে হয়। আমি তাই বললুম, ওঁর কাছে গণিত শিখব। মামা খুব খুশি । শিক্ষাথাতে ট্রাস্টফাগু থেকে কিছু থোক টাকা অামার হাতে রেখে দিয়েছেন। তারই থেকে আমি ওঁকে বৃত্তি দিই।” অভীকের মুখ কেমন একরকম হয়ে গেল। একটু হাসবার চেষ্টা করে বললে, “এমন আর্টিস্টও হয়তো আছে যে উপযুক্ত সুযোগ পেলে মিকেল আঞ্জেলোর অন্তত দাড়ির কাছটাতে পৌছতে পারত।” “কোনো মুষোগ না পেলেও হয়তে পারবে পৌছতে। এখন বলে আমার কাছ থেকে টাকাটা নেবে কি না।” ዃ “খেলনার দাম?” , , o "ই গে, আমরা তো চিরকাল তোমাদের খেলনার দামই দিয়ে থাকি। তাতে দোষ কী। তার পরে আছে আস্তাকুড় ।” “ক্রাইসলারের আজ শ্রাদ্ধশাস্তি হল এইখানেই। প্রগতিশীলার প্রগতিবেগ ভাঙা ফোর্ডেই নড় নড় করতে করতে চলুক। এখন ও-সব কথা আর ভালো লাগছে না। অমরবাৰু শুনেছি টাকা জমাচ্ছেন বিলেতে যাবার জন্যে, সেখান থেকে প্রমাণ করে