পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डिन मन्त्री م રન્વ না। মনিবদের ফাকি দিতেন এই নিষ্কাম লোভে। সমস্ত এলিয়ার মধ্যে এমন ল্যাবরেটরি কোথাও পাওয়া যাবে না, এই জেদ তার মতো আমাকেও পেয়ে বসেছিল। এই জেদেই আমাকে বাচিয়ে রেখেছিল, নইলে আমার মোদো রক্ত গাজিয়ে উঠে উপচিয়ে পড়ত চার দিকে। দেখুন চৌধুরীমশায়, নিজের স্বভাবের মধ্যে মন্দটা যা লেপটিয়ে থাকে সেটা র্যার কাছে অসংকোচে বলতে পারি আপনি আমার সেই বন্ধু। নিজের কলঙ্কের দিকটা দেখাবার খোলস। দরজা পেলে মন হাফ ছেড়ে বাচে।” চৌধুরী বললেন, “ষার সম্পূর্ণটা দেখতে পায় তাদের কাছে সত্যকে চাপ দেবার দরকার করে না । আধ। সত্যই লজ্জার জিনিস। পুরোপুরি দেখার ধাত আমাদের, আমরা বিজ্ঞানী।” : 'ኳ “তিনি বলতেন, মাহুষ প্রাণপণে প্রাণ বাচাতে চায় কিন্তু প্রাণ তো বঁাচে না। সেইজষ্ঠে বাঁচবার শখ মেটাবার জন্তে এমন কিছুকে সে খুজে বেড়ায় য। প্রাণের চেয়ে অনেক বেশি। সেই দুলভ জিনিসকে তিনি পেয়েছেন তার এই ল্যাবরেটরিতে। একে যদি আমি বঁচিয়ে রাখতে না পারি তা হলেই তাকে চরম করে মারব স্বামীঘাতিনী হয়ে। আমি এর রক্ষক চাই, তাই খুজছিলুম রেবতীকে ৷” “চেষ্টা করে দেখলে ?”. # “দেখেছি, হাতে হাতে ফল পাবার আশা আছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকবে না।” । "কেন ।” l “ওঁর পিসিমা যেমনি শুনবেন রেবতীকে টেনেছি কাছে, অমনি তাকে ছোঁ। মেরে নিয়ে যাবার জন্যে ছুটে আসবেন । ভাববেন, আমার মেয়ের সঙ্গে ওঁর বিয়ে দেবার ফাদ পেতেছি।” “দোষ কী, হলে তো ভালোই হত। কিন্তু তুমি যে বলেছিলে, বেজাতে মেয়ের বিয়ে দেবেন।” “তখনও আপনার মন জানতুম না, তাই মিথ্যে কথা বলেছিলুম। খুবই চেয়েছিলুম। কিন্তু ছেড়েছি সেই মতলব ।” "কেন ।” % k “বুঝতে পেরেছি, ও ভাঙনধরানো মেয়ে। ওর হাতে যা পড়বে তা আস্ত থাকবে না।” “কিন্তু ও তে। তোমারই মেয়ে।” . * “আমারই মেয়ে তো বটে, তাই তো ওকে আঁতের ভিতর থেকেই চিনি।” অধ্যাপক বললেন, “কিন্তু এ কথা ভুললে চলবে কেন যে, মেয়ের পুরুষের ইনস্পিরেশন জাগাতে পারে।”