পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r s f t Y. l § I - . 4 | i i i | f t f * w , n g f i y , * s: "r i * * * f اليم , 'f , ', * -ب f i * n H I * , , , , , ኳ та . * .. السد l متے! 4 卤 i ! . § ... " . " f نيا r l i ! { *

  • , ; | | .' g * : الة i 1 *

, - . . i i f k * i I R i * і ή I i i r * .ی n o | i r * * t n l i i f r n f * * r | t n * I i l “ই; আমি তাই ਾਂਗੇ। বর্বর মানুষ জন্তুর পর্যায়ে। কেবলমাত্র তপস্যার মধ্য দিয়ে त्नशैंह लानौ মান্বষ। আরও তপস্ত আছে সামনে, স্থল আবরণ যুগে যুগে ত্যাগ করতে করতে সে হবে দেবতা। পুরাণে দেবতার কল্পনা আছে, কিন্তু দেবতা । ছিলেন ন অতীতে, দেবতা আছেন ভবিস্তুতে। মানুষের ইতিহাসের শেষ অধ্যায়ে।” অচির বললে, “দাছ এইবার এসো, তোমার-আমার কথাটা আপসে চুকিয়ে দিই, কদিন থেকে মনের মধ্যে তোলপাড় করছে।” ..? আমি উঠে পড়লুম, বললুম, “তা হলে যাই।” “না, আপনি বস্থন – দাদু, সেই যে কলেজের অধ্যক্ষপদটা তোমার ছিল, সেট। খালি হয়েছে । তোমাকে ডাক দিয়েছে ওরা ।” অধ্যাপক আশ্চর্য হয়ে বললেন, "কী করে জানলে ভাই।” “তোমার কাছে চিঠি এসেছে, সে আমি চুরি করেছি।” “চুরি করেছ।” “করব না ! আমাকে সব চিঠিই দেখাও কেবল কলেজের ছাপ-মারা ঐ চিঠিটাই দেখালে না। তোমার দুরভিসন্ধি সন্দেহ করে চুরি করে দেখতে হল।” . অধ্যাপক অপরাধীর মতো ব্যস্ত হয়ে বললেন, “আমারই অন্যায় হয়েছে।” “কিছু অন্যায় হয় নি। আমাকে লুকোতে চেয়েছিলে যে আমার জীবনের অভিসম্পাত এখনও তুমি নিজের উপর টেনে নিয়ে চলবে। তোমার আপন আসন থেকে আমি যে নামিয়ে এনেচি তোমাকে । আমাদের তো ঐ কাজ ।” “কী বলছ দিদি ।” ; “সত্যি কথাই বলছি। তুমি শিক্ষাদানযজ্ঞের হোতা, এখানে এনে আমি তোমাকে করেছি শুধু গ্রন্থকীট। বিশ্বস্বষ্টি বাদ দিলে কী দশ হয় বিশ্বকর্তার। ছাত্র না থাকলে তোমার হয় ঠিক তেমনি। সত্যি কথা বলে।” “বরাবর ইস্কুলমাস্টারি করে এসেছি কিন৷ ” “তুমি আবার ইস্কুলমাস্টার! কী যে বল তুমি! তুমি যে স্বভাবতই আচার্য। দেখেন নি, নবীনবাবু, ওঁর মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে কি, আর দয়ামায় থাকে না। অমনি আমাকে নিয়ে পড়েন— বারে আনাই বুঝতেই পারি নে। নইলে হাতড়িয়ে বের করেন এই নবীনবাবুকে, সে হয় আরও শোচনীয়। দাদু, ছাত্র তোমার নিতান্তই চাই জানি, কিন্তু বাছাই করে নিয়ে, রূপকথার রাজা সকালে ঘুম থেকে উঠেই যার মুখ দেখত তাকেই কন্যা দান করত। তোমার বিদ্যাদান অনেকটা সেই রকম।”