পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বপরিচয় \פרס সিগন্তালে জানিয়ে দেয় বর্ণলিপি। শিঙে বাজিয়ে রেলগাড়ি পাশ দিয়ে চলে যাবার সময় কানে তার আওয়াজ পূর্বের চেয়ে চড়া ঠেকে। কেননা শৃঙ্গধানি বাতাসে যে ঢেউতোল আওয়াজ আমাদের কানে বাজায়, গাড়ি কাছে এলে সেই ঢেউগুলো পুীভূত হয়ে কানে চড়া মুরের অনুভূতি জাগায়। আলোতে চড়া রঙের সপ্তক বেগনির দিকে। কোনো কোনো গ্যাসীয় নীহারিকার ষে উজ্জ্বলতা সে তার আপন আলোতে নয়। যে নক্ষত্রগুলি তাদের মধ্যে ভিড় করে আছে তারাই ওদের আলোকিত করেছে। আবার কোথাও নীহারিকার পরমাণুগুলি নক্ষত্রের আলোককে নিজেরা শুষে নিয়ে ভিন্ন দৈর্ঘ্যের আলোতে তাকে চালান করে। " " - নীহারিকার আর-একটি বিশেষত্ব দেখতে পাওয়া যায়। তার মাঝে মাঝে মেঘের মতে কালে কালে লেপ দেওয়া আছে, নিবিড়তম তারার ভিড়ের মধ্যে এক এক । জায়গায় কালে৷ ফাক। জ্যোতিষী বার্নার্ডের পর্যবেক্ষণে এমনতরে প্রায় দুশোটা কালো আকাশ-প্রদেশ দেখা দিয়েছে। বার্নার্ড অনুমান করেন এগুলি অস্বচ্ছ গ্যাসের মেঘ, ওর পিছনের তারাগুলিকে ঢেকে রেখেছে। কোনোট কাছে, কোনোটা দুরে, কোনোট ছোটো, কোনোট প্রকাও বড়ে । , * নক্ষত্ৰলোকের অনুবর্তী আকাশে যে বস্তুপুঞ্জ ছড়িয়ে আছে তার নিবিড়ত হিসাব করলে জানা যায় যে সে অত্যন্ত কম, প্রত্যেক ঘন-ইঞ্চিতে আধ ডজন মাত্র পরমাণু। সে যে কত কম এই বিচার করলে বোঝা যাবে যে, বিজ্ঞান পরীক্ষাগারে সব চেয়ে জোরের পাম্প দিয়ে যে শূন্তত স্বষ্টি করা হয় তার মধ্যেও ঘনইঞ্চিতে বহু কোটি পরমাণু বাকি থেকে যায়। আমাদের আপন নক্ষত্ৰলোকটি প্রকাও একটা চ্যাপটা ঘুরপাক-খাওয়া জগৎ, বহু শত কোটি নক্ষত্রে পূর্ণ। তাদের মধ্যে মধ্যে যে আকাশ তাতে অতি সূক্ষ্ম গ্যাস কোথাও বা অত্যন্ত বিরল, কোথাও বা অপেক্ষাকৃত ঘন, কোথাও বা উজ্জল, কোথাও বা অস্বচ্ছ। স্বৰ্য আছে এই নক্ষত্ৰলোকের কেন্দ্র থেকে তার ব্যাসের প্রায় একতৃতীয়াংশ দূরে, একটা নাক্ষত্রমেঘের মধ্যে। নক্ষত্রগুলির বেশি ভিড় নীহারিকার কেন্দ্রের কাছে । եր অ্যান্টারীজ নক্ষত্রের ব্যাস উনচল্লিশ কোটি মাইল, আর সূর্যের ব্যাস আট লক্ষ চৌযুটি হাজার মাইল। স্বৰ্ষ মাঝারি বহরের তারা বলেই গণ্য। যে নক্ষত্ৰজগতের একটি মধ্যবিত্ত তারা এই সূর্য, তার মতো এমন আরও আছেৱক্ষ লঙ্ক জগৎ । সব নিয়ে এই যে ব্রহ্মাও কোথায় তার সীমা তা আমরা জানি নে ি , , " : আমাদের স্বৰ্ষ তার সব গ্রহগুলিকে নিয়ে যুর খাচ্ছে আর তার সঙ্গেই ঘুরছে এই