পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* o o s o i - - - r * i " ; - .* so M Ιη r * I. o, r i o m f =- سا ни r I - ர் : r. t'. I - - - 1 * I i 紧1 * I s 8 ዓ *** - . दि পরিচয় * al § l - - * } * . * 曹 t | " , *. i ... ' 1 r I * * II e si -- * * *

  • i *

স্বতন্ত্ৰ ছুটকে অণুর বেগ অনেক বেশি। সেইজন্তে পৃথিবীর বাহির আঙিনার সীমা । থেকে হাইড্রজেনের খুচরে অণুপ্রায়ই পৃথিবীর টান কাটিয়ে বাইরে দৌড়gচ্ছ। । কিন্তু দলের বাইরে অক্সিজেন নাইট্রজেনের অণুকণার গতি কখনও ধৈর্যহারা পলাতকার । বেগ পায় না। সেই কারণে পৃথিবীর বাতাসে তাদের দৈন্ত ঘটে নি ; কেবল তরুণ বয়সে যে হাইড্রজেন ছিল পৃথিবীর সব চেয়ে প্রধান গ্যাসীয় সম্পত্তি, ক্রমে ক্রমে সেটার অনেকখানিই সে খুইয়ে ফেলেছে। " W. & বড়ে বড়ো ডানাওয়াল পাখি শুধু ডানা ছড়িয়েই অনেকক্ষণ ধরে হাওয়ার । উপরে ভেসে বেড়ায়, বুঝতে পারি পাধিকে নির্ভর দিতে পারে এতটা ঘনতা আছে বাতাসের । বস্তুত কঠিন ও তরল জিনিসের মতোই হাওয়ারও ওজন মেলে। আকাশ থেকে মাটি পর্যন্ত হাওয়া আছে অনেক মাইল ধরে। সেই হাওয়ার চাপ এক ফুট লম্বা ও এক ফুট চওড়া জিনিসের উপর প্রায় সাতাশ মণ। একজন সাধারণ মানুষের শরীরে চাপ পড়ে প্রায় ৪০০ মণের উপর। তবুও তা টের পাই নে। যেমন উপর থেকে তেমনি নিচের থেকে, আবার আমাদের শরীরের মধ্যে যে হাওয়া আছে তার থেকে সমানভাবে বাতাসের চাপ আর ঠেলা লাগছে ব’লে বাতাসের ভার আমাদের পীড়া দিচ্ছে না । পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল আপন আবরণে দিনের বেলায় স্বর্ষের তাপ অনেকটা ঠেকিয়ে রাখে, আর রাত্ৰিতে মহাশূন্যের প্রবল ঠাণ্ডাটাকেও বাধা দেয়। চাদের গায়ে হাওয়ার উডুনি নেই তাই সে স্বর্ষের তাপে ফুটন্ত জলের সমান গরম হয়ে ওঠে। অথচ গ্রহণের সময় যখনই পৃথিবী চাদের উপর ছায় ফেলে অমনি দেখতে দেখতেই সে ঠাগু হয়ে যায়। হাওয়া থাকলে তাপটকে ঠেকিয়ে রাখতে পারত। চাদের কেবল এইমাত্র ক্রটি নয় ; বাতাস নেই বলে সে একেবারে বোবা, কোথাও একটু শব্দ হবার জো নেই। বিশেষভাবে নাড়া পেলে বাতাসে নানা আয়তনের সূক্ষ্ম ঢেউ ওঠে, সেইগুলো নানা কাপনের ঘা দেয় আমাদের কানের ভিতরকার পাতল চামড়ায়, তখন সেইসব ঢেউ নানা রকম আওয়াজ হয়ে আমাদের কাছে সাড়া দিতে থাকে। আরওএকটি কাজ আছে বাতাসের। কোনো কারণে রৌদ্র যেখানে কিছু বাধা পায় সেখানে ছায়াতেও যথেষ্ট আলো থাকে, এই আলো বিছিয়ে দেয় বাতাস। নইলে যেখানটিতে রোদ পড়ত কেবল সেইখানেই আলো হত। ছায়া ব’লে কিছুই থাকত না। তীব্র আলোর ঠিক পাশেই থাকত ঘোর অন্ধকার। গাছের মাথার উপর রোদুর উঠত চোখ রাঙিয়ে আর তার তলা হত মিশমিশে কালে, ঘরের ছাদে বঁ। ধ। করত দুইপহরের রোদের তেজ, ঘরের ভিতর থাকত দুইপহরের অমাবস্তার রাত্রি। প্রদীপ