পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪১৮ রবীন্দ্র-রচনাবলী, - । 嵩 ৩ অক্টোবর তারিখচিহ্নিত নং কবিতাটি Q জোড়াসাকোয় চেতনাপ্রাপ্তির পরে রচিত রবীন্দ্রনাথের সর্বপ্রথম কবিতা। ১৩৪৭ সালের অগ্রহায়ণের প্রবাসী পত্রিকায় উক্ত কবিতাটি ‘জপের মালা’ নামে এবং ৪নং কবিতাটি ‘ঋণশোধ’ নামে প্রথম প্রকাশিত হয়। ৬, ৭ ও ৩১ নং কবিতা তিনটি যথাক্রমে ‘ভোরের চড়ুই পাখি’, ‘গহন রজনী’ ও ‘অপবাদ’ নামে প্রবাসীর ১৩৪৭ পৌষ সংখ্যায় প্রথম মুদ্রিত হয়। অন্যান্য কবিতাগুলি কিঞ্চিং অধিক একমাস কালের মধ্যে (৩০ অক্টোবর হইতে ৫ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে ) রচিত এবং গ্রন্থাকারেই সর্বপ্রথম প্রকাশিত হইয়াছিল। আরোগ্য আরোগ্য ১৩৪৭ সালের ফাত্তন মাসে প্রকাশিত হয়। ইহার সমস্ত কবিতাই কলিকাতা হইতে শাস্তিনিকেতনে প্রত্যাবর্তনের পরে রবীন্দ্রনাথ মুখে মুখে রচনা করেন। অধিকাংশ কবিতাই কোনো পত্রিকায় বাহির হয় নাই। * , ৩নং কবিতাটির একটি পূর্বতন পাঠ সাপ্তাহিক 'দেশ' পত্রিকার অষ্টম বর্ষ, নবম সংখ্যায় (২৭ পৌষ ১৩৪৭, পৃ ৩৩৭ ) ‘দুরন্থতি নামে প্রথম মুদ্রিত হয়। পত্রিকায় উক্ত কবিতার দৈর্ঘ্য ছিল মোট ২৮ ছত্র, রচনার কাল ও স্থান মুদ্রিত হইয়াছিল ‘২৭৷১২৪০ উদয়ন’। পাঠান্তর স্বরূপ উহার শেষাংশ দেশ পত্রিকা হইতে নিম্নে উদ্ধৃত হইল : বর্ণহীন প্রৌঢ় প্রভাতের ছায়াতে আলোতে আমার চিত্তের ধারা ভাসাইয়া চলে ফেনায় ফেনায় । স্পর্শ করি’ শূন্যের কিনার জেলেডিঙি চলে পাল তুলে, যুথভ্রষ্ট মেঘ পড়ে থাকে আকাশের কোণে। সমস্ত দিনের পটে অতি ক্ষণি চিহ্ন দেয় কর্মের চিন্তার রেখাগুলি, পরক্ষণে মুছে যায়। স্বচ্ছ আনন্দের রূপ স্তন্ধ হেরি অন্তরে বাহিরে প্রসারিত পাণ্ডুনীল আকাশের তলে ।