পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 8२१ छूडौब्र पृथ् *... মায়ের মন্ত্রনৃত্য । 鼠 আকাশে মেঘ ঘনিয়েছে দেখে প্রকৃতির আশা হল, মন্ত্র খাটবে, সন্ন্যাসীর শুষ্ক সাধনা উড়ে যাবে শুকনো পাতার মতন। মা বললে, “এইবার আয়নার সামনে নেচে দেখ, তো কী ছায় পড়ল।” প্রকৃতি আয়নায় দেখলে, আনন্দ আকাশে হাত তুলে থেকে থেকে কাকে যেন অভিশাপ দিচ্ছেন, নিজেকে কঠোরভাবে আঘাত করছেন। দেখে সে অনুতাপে অভিভূত হল। বললে “আমার বুক ফেটে যাচ্ছে, এ দর্পণ আমি দেখব না।” মায়া যখন বললে, “তা হলে মন্ত্র ফিরিয়ে নেওয়াই ভালো’ প্রকৃতি প্রথমে তাতে সম্মতি দিলে, পরক্ষণেই বললে, “না, তোর মন্ত্র পড়, আস্থন তিনি, দুঃখ দিয়েই র্তার দুঃখ মেটাব আমি।” 聯 প্রকৃতি তার মাকে নাগপাশ মন্ত্র পড়তে বললে । (নাগপাশমন্ত্র নৃত্য ) ( আহবান গানের সঙ্গে শিষ্যাদের নৃত্যু ) ( আনন্দের ছায়া অভিনয় ) অবশেষে আনন্দ পরাভূত হয়ে কাছে এসে উপস্থিত হলেন। তখন মহাপুরুষের এই অপমান প্রকৃতি সহ করতে পারলে না। বললে, “প্রভু, তুমি আমাকে উদ্ধার করতে এসেছ। আমি তোমাকে নিচে নামিয়ে এনেছি, তুমি আমাকে উপরে টেনে তুলবে বলে ।” o, সকলে মিলে বুদ্ধের স্তবমন্ত্র পাঠ ও প্রণাম। সমাপ্ত কলিকাতায় পুনরভিনয় কালে প্রচারিত পুস্তিকা হইতে নৃত্যনাট্যটির রবীন্দ্রনাথ কতৃক নূতন করিয়া লিখিত আর-একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিয়ে মুদ্রিত হইল : अथम पृश्चि ফুলওয়ালির দল ফুল বিক্রি করতে এসেছে। চণ্ডালিকাও আনলে তার ফুলের ডালি। সবাই ঘৃণায় তার পাশ কাটিয়ে গেল। দইওয়াল এল দই বেচতে, চগুলিক প্রকৃতি কেনবার জন্যে হাত বাড়াতেই দইওয়ালাকে সবাই নিষেধ করলে।