পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মদিনে সেই ক্ষোভে পড়ি গ্রন্থ ভ্রমণবৃত্তান্ত আছে যাহে অক্ষয় উৎসাহে— যেথ। পাই চিত্রময়ী বর্ণনগর বাণী কুড়াইয় অগনি । জ্ঞানের দীনত এই আপনার মনে পূরণ করিয়া লই যত পারি ভিক্ষণলব্ধ ধনে । আমি পৃথিবীর কবি, যেথ। তার যত উঠে ধ্বনি আমার বণশির স্বরে সাড়া তার জাগিবে তখনি, এই স্বরসাধনায় পৌছিল ন৷ বহুতর ডাক— রয়ে গেছে ফাক । কল্পনায় আনুমানে ধরিত্রীর মহা-একতান কত-ন। নিস্তব্ধ ক্ষণে পূর্ণ করিয়াছে মোর প্রাণ । দুর্গম তুষারগিরি অসীম নিঃশব্দ নীলিমায় অশ্রত যে গান গণয় আমার অন্তরে বারবার পাঠীয়েছে নিমন্ত্রণ তার । দক্ষিণমেরুর উর্ধের্ব যে আজ্ঞাত তার। মহাজনশূন্ততায় রাত্রি তার করিতেছে সার, সে অামার অধ রাত্রে অনিমেষ চোখে অনিদ্র করেছে স্পর্শ অপূর্ব অণলোকে । স্বদূরের মহাপ্লবী প্রচণ্ড নিঝর মনের গহনে মোর পাঠীয়েছে স্বর । প্রকৃতির ঐকতানস্রোতে নান। কবি ঢালে গণন নান। দিক হতে ; তাদের সবার সাথে আছে মোর এইমাত্র যোগ – সঙ্গ পাই সবাকার, লাভ করি আনন্দের ভোগ, গীতভারতীর অণমি পাই তো প্রসাদ নিখিলের সংগীতের স্বাদ । 이어