পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ভাণ্ডারে সঞ্চিত করে পর্বতশিখর অন্তহীন যুগ যুগান্তর। আমার একটি দিন বরমাল্য পরাইল তারে, এ শুভ সংবাদ জানাবারে অন্তরীক্ষে দূর হতে দূরে অনাহত সুরে প্রভাতে সোনার ঘণ্টা বাজে ঢঙ ঢঙ, শুনিছে কি এ কালিম্পঙ । গৌরীপুরভবন। কালিম্পঙ ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪০ Ꮌ☾ মনে পড়ে, শৈলতটে তোমাদের নিভৃত কুটির ; হিমাদ্রি যেথায় তার সমুচ্চ শান্তির আসনে নিস্তব্ধ নিত্য, তুঙ্গ তার শিপরের সীম লঙ্ঘন করিতে চায় দূরতম শূন্যের মহিম। অরণ্য যেতেছে নেমে উপত্যক বেয়ে ; নিশ্চল সবুজবন্ত, নিবিড় নৈঃশব্দ্যে রাখে ছেয়ে ছায়াপুঞ্জ তার ৷ শৈলশৃঙ্গ-অন্তরালে প্রথম অরুণোদয়-ঘোষণার কালে অন্তরে অগনিত স্পন বিশ্বজীবনের সদ্যস্ফৰ্ত চঞ্চলত। নির্জন বনের গৃঢ় আনন্দের যত ভাষাহীন বিচিত্র সংকেতে লভিতাম হৃদয়েতে যে বিস্ময় ধরণীর প্রাণের আদিম সুচনায় । সহসা নাম-না-জানা পাখিদের চকিত পাখায় চিন্তা মোর যেত ভেসে শুভ্ৰহিমরেখাঙ্কিত মহানিরুদ্দেশে । বেলা যেত, লোকালয় তুলিত ত্বরিত করি স্বপ্তোখিত শিথিল সময়।