পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্তন্ধ নীরব গহন গভীর যেথা কোনোদিন আসে নি কেহ । সাধকবিহীন একক দেবতা ঘুমাতেছিলেন সাগরকুলে,— ঋষির বালক পুলকে তাহারে পূজিলা প্রথম পূজার ফুলে । আনন্দে মোর দেবতা জাগিল, জাগে আনন্দ ভকত-প্রাণে,— এ বারতা মোর দেবতা তাপস দোহে ছাড়া আর কেহ না জানে । কহিলা কুমার চাহি মোর মুখে, “আনন্দময়ী মুরতি তুমি, ফুটে আনন্দ বাহুতে তোমার, ছুটে আনন্দ চরণ চুমি।” শুনি সে বচন, হেরি সে নয়ন, দুই চোখে মোর ঝরিল বারি । নিমেষে ধৌত নির্মল রূপে বাহিরিয়া এল কুমারী নারী। বহুদিন মোর প্রমোদনিশীথে যত শত দীপ জলিয়াছিল— দূর হতে দূরে – এক নিশ্বাসে কে যেন সকলি নিবায়ে দিল । প্রভাত-অরুণ ভায়ের মতন সপি দিল কর আমার কেশে, আপনার করি নিল পলকেই মোরে তপোবনপবন এসে । মিথ্যা তোমার জটিল বুদ্ধি, বুদ্ধ, তোমার হাসিরে ধিক্ ।