পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতালি বৈরাগ্য কহিল গভীর রাত্রে সংসারে বিরাগী “গৃহ তেয়াগিব আজি ইষ্টদেব লাগি । কে আমারে ভুলাইয়া রেখেছে এখানে ?” দেবতা কহিলা, “আমি।”— শুনিল না কানে। স্বপ্তিমশ্ন শিশুটিরে অঁাকড়িয়া বুকে প্রেয়সী শষ্যার প্রান্তে ঘুমাইছে স্বথে । কহিল, “কে তোরা ওরে মায়ার ছলনা ?” দেবতা কহিলা, “আমি।”— কেহ শুনিল না । ডাকিল শয়ন ছাড়ি, “তুমি কোথা প্ৰভু ?” দেবতা কহিলা, “হেথা ।”— শুনিল না তবু ! স্বপনে কঁাদিল শিশু জননীরে টানি— দেবতা কহিলা, “ফির ”— শুনিল না বাণী । দেবতা নিশ্বাস ছাড়ি কহিলেন, “হায়, আমারে ছাড়িয়া ভক্ত চলিল কোথায় ?” ১৪ চৈত্র ১৩০২ মধ্যাহ্ন বেলা দ্বিপ্রহর । ক্ষুদ্র শীর্ণ নদীখানি শৈবালে জর্জর স্থির স্রোতোহীন । অধৰ্মগ্ন তরী’পরে মাছরাঙা বসি, তীরে দুটি গোরু চরে শস্তহীন মাঠে । শাস্তনেত্ৰে মুখ তুলে মহিষ রয়েছে জলে ডুবি । নদীকূলে জনহীন নৌকা বাধা । শূন্ত ঘাটতলে রৌদ্রতপ্ত দাড়কাক স্নান করে জলে > X