পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী وV(م\څSا অভাব কিসের। তবে কি না, হাতে একটা কাজ থাকা চাই, নহিলে অল্প বয়স, কি জানি কখন কী মতি হয় । ” পালে বাতাসের জোর ছিল, কাশী পৌছিতে দীর্ঘকাল লাগিল না। শহরের ঠিক বাহিরেই অল্প একটু বাগানওয়ালা একটি দোতলা বাড়িতে সকলে গিয়া উঠিলেন। সেখানে চৌদ্দ টাকা বেতনের বামুনের কোনো সন্ধান পাওয়া গেল না— একটা উড়ে বামুন ছিল, অনতিকাল পরেই নবীনকালী তাহার উপরে এক দিন হঠাৎ অত্যন্ত আগুন হইয়া উঠিয়া বিনা বেতনে তাহাকে বিদায় করিয়া দিলেন। ইতিমধ্যে চৌদ্দ টাকা বেতনের অতি দুর্লভ দ্বিতীয় একটি পাচক জুটিবার অবকাশে কমলাকেই সমস্ত রাধা-বাড়ার ভার লইতে হইল । নবীনকালী কমলাকে বারবার সতর্ক করিয়া কহিলেন, “দেখো বাছা, কাশী শহর ভালো জায়গা নয়। তোমার অল্প বয়স । বাড়ির বাহিরে কখনো বাহির হইয়ো না । গঙ্গাস্নান-বিশ্বেশ্বরদর্শনে আমি যখন যাইব তোমাকে সঙ্গে করিয়া লইব ।” কমলা পাছে দৈবাং হাতছাড়া হইয়া যায় নবীনকালী এজন্য তাহাকে অত্যন্ত সাবধানে রাখিলেন । বাঙালি মেয়েদের সঙ্গেও তাহাকে বড়ো-একটা আলাপের অবসর দিতেন না। দিনের বেলা তো কাজের অভাব ছিল না— সন্ধ্যার পরে একবার কিছুক্ষণ নবীনকালী তাহার যে ঐশ্বর্য, ষে গহনাপত্র, যে সোনারুপার বাসন, ষে মখমল-কিংখাবের গৃহসজ্জা চোরের ভয়ে কাশীতে আনিতে পারেন নাই, তাহারই আলোচনা করিতেন। **াসার থালায় খাওয়া তো কর্তার কোনোকালে অভ্যাস নাই, তাই প্রথম-প্রথম এ লইয়া তিনি অনেক বকবকি করিতেন। তিনি বলিতেন, নাহয় দু-চারখানা চুরি যায় সেও ভালো, আবার গড়াইতে কতক্ষণ। কিন্তু টাকা আছে বলিয়াই যে লোকসান করিতে হইবে সে আমি কোনোমতে সহ করিতে পারি না। তার চেয়ে বরঞ্চ কিছুকাল কষ্ট করিয়া থাকাও ভালো । এই দেখো-না, দেশে আমাদের মস্ত বাড়ি, সেখানে লোক লশকর যতই থাক আসে-যায় না, তাই বলিয়া কি এখানে সাত গগু চাকর আনা চলে ? কর্তা বলেন, কাছাকাছি নাহয় আরও একটা বাড়ি ভাড়া করা যাইবে। আমি বলিলাম, না, সে আমি পারিব না— কোথায় এখানে একটু আরাম করিব, না কতকগুলো লোকজন-বাড়িঘর লইয়া দিনরাত্রি ভাবনার অস্ত থাকিবে मां ।’ ट्रेऊTांमि ।