পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cनोकांफूचेि \రిపి) কমলা শুনিয়া চকিত হইয়া উঠিয়া তৎক্ষণাং ক্ষেমংকরীকে প্রণাম করিয়া তাহার পায়ের ধুলা লইল । ক্ষেমংকরী কহিলেন, “তুমি কে গা! দেখি দেখি, কী রূপ! যেন লক্ষ্মীটির প্রতিম৷” বলিয়া কমলার ঘোমটা সরাইয় তাহার নতনেত্ৰ মুখখানি ভালো করিয়া দেখিলেন। কহিলেন, “তোমার নাম কী বাছা ?” কমলা উত্তর করিবার পূর্বেই খুড়া কহিলেন, “ইহার নাম হরিদাসী । ইনি আমার দুরসম্পর্কের ভ্রাতুষ্পুত্রী । ইহার মা-বাপ কেহ নাই, আমার উপরেই নির্ভর।” ক্ষেমংকরী কহিলেন, “আমুন-না চক্রবর্তীমশায়, আমার বাড়িতেই আস্থন ।” বাড়িতে লইয়া গিয়া ক্ষেমংকরী একবার নলিনাক্ষকে ডাকিলেন । নলিনাক্ষ তখন বাহির হইয়া গেছেন। খুড়া আসন গ্রহণ করিলেন, কমলা মেজের উপরে বসিল । খুড়া কহিলেন, “দেখুন, আমার এই ভাইঝির ভাগ্য বড়ো মন্দ । বিবাহের পরদিনই ইহার স্বামী সন্ন্যাসী হইয়া বাহির হইয়া গেছেন, ইহার সঙ্গে আর দেখা-সাক্ষাং নাই। হরিদাসীর ইচ্ছা ধৰ্মকৰ্ম লইয়া তীর্থবাস করে— ধর্ম ছাড়া উহার সাম্বনার সামগ্রী আর তো কিছুই নাই । এখানে আমার বাড়ি নয়, আমার চাকরি আছে— উপার্জন করিয়া আমাকে সংসার চালাইতে হয় । আমি যে এখানে আসিয়া ইহাকে লইয়া থাকিব, আমার এমন স্ববিধা নাই। তাই আপনার শরণাপন্ন হইয়াছি। এটিকে আপনার মেয়ের মতো যদি কাছে রাখেন, তবে আমি বড়ো নিশ্চিন্ত হই। যখনই অসুবিধা বোধ করিবেন, গাজিপুরে আমার কাছে পাঠাইয়া দিবেন। কিন্তু আমি বলিতেছি, দুদিন ইহাকে কাছে রাখিলেই মেয়েটি কী রত্ন তাহা বুঝিতে পারিবেন, তখন মুহূর্তের জন্য ছাড়িতে চাহিবেন না।” ক্ষেমংকরী খুশি হইয়া কহিলেন, “আহ, এ তে ভালো কথা। এমন মেয়েটিকে আপনি ষে আমার কাছে রাখিয়া যাইতেছেন, এ তো আমার মস্ত লাভ । আমি কতদিন রাস্তা হইতে পরের মেয়েকে বাড়িতে আনিয়া খাওয়াইয়া-পরাইয়া আনন্দ করি, কিন্তু তাহদের তো রাখিতে পারি না । তা, হরিদাসী আমারই হইল, আপনি ইহার জন্য কিছুমাত্র ভাবিবেন না। আমার ছেলের কথা অবস্ত আপনার পাঁচ জনের কাছে শুনিয়া থাকিবেন— নলিনাক্ষ— সে বড়ো ভালো ছেলে। সে ছাড়া বাড়িতে थांब्र ८कङ् मांहे ।” খুড়া কহিলেন, "নলিনাক্ষবাবুর নাম সকলেই জানে। তিনি এখানে আপনার কাছে থাকেন জানিয়া আমি আরও নিশ্চিন্ত । আমি শুনিয়াছি, বিবাহের পর দুর্ঘটনায়