পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতালি ধরাতল ছোটো কথা, ছোটো গীত, আজি মনে আসে । চোখে পড়ে যাহা-কিছু হেরি চারি পাশে । আমি যেন চলিয়াছি বাহিয়া তরণী, কুলে কুলে দেখা যায় হামল ধরণী । সবি বলে, “ষাই যাই” নিমেষে নিমেষে— ক্ষণকাল দেখি ব’লে দেখি ভালোবেসে । তীর হতে দুঃখ সুখ দুই ভাইবোনে মোর মুখপানে চায় করুণ নয়নে । ছায়াময় গ্রাম গুলি দেখা যায় তীরে— মনে ভাবি, কত প্রেম আছে তারে ঘিরে । যবে চেয়ে চেয়ে দেখি উংস্থক নয়ানে আমার পরান হতে ধরার পরানে— ভালোমন্দ দুঃখস্থখ অন্ধকার-আলো মনে হয়, সব নিয়ে এ ধরণী ভালো । ২৭ চৈত্র ১৩০২ তত্ত্ব ও সৌন্দর্য শুনিয়াছি নিম্নে তব, হে বিশ্বপাথার, নাহি অস্ত মহামূল্য মণিমুকুতার। নিশিদিন দেশে দেশে পণ্ডিত ডুবারি রত রহিয়াছে কত অন্বেষণে তারি। তাহে মোর নাহি লোভ, মহাপারাবার । যে আলোক জলিতেছে উপরে তোমার, যে রহস্ত জুলিতেছে তব বক্ষতলে, ষে মহিমা প্রসারিত তব নীল জলে, যে সংগীত উঠে তব নিয়ত আঘাতে, ষে বিচিত্র লীলা তব মহানৃত্যে মাতে, ‘ථG