পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাৱলী واديلا جع : এতদিন পরে— $ * . ধর্মেণপি পদং শর্বে n 1 * কারিতে পার্বতীং প্রতি । পূর্বাপরাধতীতত . . . . কামস্তোচ্ছসিতং মনঃ ॥ ধর্ম যখন মহাদেবের মনকে পার্বতীর অভিমুখে আকর্ষণ করিলেন, তখন 'পূর্বাপরাধতীত কামের মন আশ্বাসে উচ্ছসিত হইয়া উঠিল। 'ls ধর্ম যেখানে দুই হৃদয়কে একত্র করে, সেখানে মদনের সহিত কাহারও কোনো বিরোধ নাই । সে যখন ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বাধাইতে চায় তখনি বিপ্লব উপস্থিত হয় ; তখনি প্রেমের মধ্যে ধ্রুবত্ব এবং সৌন্দর্যের মধ্যে শাস্তি থাকে না । কিন্তু ধর্মের অধীনে তাহার যে নির্দিষ্ট স্থান আছে সেখানে সেও পরিপূর্ণতার একটি অঙ্গস্বরূপ, সেখানে থাকিয়া সে সুষম ভঙ্গ করে না । কারণ, ধর্মের অর্থ ই সামঞ্চস্ত ; এই সামঞ্জস্ত সৌন্দর্ধকেও রক্ষা করে মঙ্গলকেও রক্ষা করে এবং সৌন্দর্য ও মঙ্গলকে অভেদ করিয়া উভয়কে একটি আনন্দময় সম্পূর্ণতা দান করে। সৌন্দর্য যেখানে ইন্দ্রিয়কে ছাড়াইয়া ভাবের মধ্যে গিয়া প্রবেশ করে সেখানে বাহসৌন্দর্বের বিধান তাহাতে আর খাটে না । সেখানে তাহার আর ভূষণের প্রয়োজন কী ? প্রেমের মন্ত্রবলে মন যে সৌন্দর্ধ স্বষ্টি করে তাহাকে বাহসৌন্দর্ষের নিয়মে বিচার করাই চলে না। শিবের স্তায় তপস্বী, গৌরীর ন্তায় কিশোরীর সঙ্গে বাহসৌন্দর্ষের নিয়মে ঠিক যেন সংগত হইতে পারেন না । শিব নিজেই ছদ্মবেশে সে কথা তপস্তারতা উমাকে জানাইয়াছেন। উমা উত্তর দিয়াছেন, ‘মমাত্র ভাবৈকরসং মন: স্থিতমী, আমার মন র্ত্যহাতেই ভাবৈকল্পস হইয়। অবস্থিতি করিতেছে । এ যে রস, এ ভাবের রস ; সুতরাং ইহাতে আর কথা চলিতে পারে না । মন এখানে বাহিরের উপরে জয়ী ; সে নিজের আনন্দকে নিজে স্বষ্টি করিতেছে। শম্ভুও একদিন বাহসৌন্দর্যকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছিলেন ; কিন্তু প্রেমের দৃষ্টি, মঙ্গলের দৃষ্টি, ধর্মের দৃষ্টির দ্বারা যে সৌন্দর্য দেখিলেন,তাহা তপস্তারুশ ও আভরণহীন হইলেও তাহাকে জয় করিল। কারণ, সে জয়ে তাহার নিজের মনই সহায়তা করিয়াছে, মনের কর্তৃত্ব তাহাতে নষ্ট হয় নাই । ..", ধর্ম যখন তাপস-তপস্বিনীর মিলনসাধন করিল তখন স্বর্গমর্ত এই প্রেমের ও সহায়রূপে অবতীর্ণ হইল ; এই প্রেমের অ্যাহাৰ সপ্তর্ষিবৃন্দকে স্পর্শ কৰিল ; এই প্রেমের উৎসব লোকলোকাস্তরে ব্যাপ্ত হইল। ইহার মধ্যে কোনো পৃঢ় চক্রান্ত, অকালে বসন্তের আবির্ভাব ও গোপনে মদনের শরপাতল রহিল না । ইহার r