পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रदौडझ-ब्राक्रमांबलौ وا\ج t) মূল স্থর বাজিয়া উঠিল। এই নিষেধটি আশ্রমমূগের সঙ্গে সঙ্গে তাপসকুমারী শকুন্তলাকেও করুণাচ্ছাদনে আবৃত করিতেছে। ঋষি বলিতেছেন,— মুন্থ এ মৃগদেহে মেরো না শর। আগুন দেবে কে হে ফুলের পর ? কোথা হে মহারাজ, মৃগের প্রাণ, কোথায় যেন বাজ 曝 তোমার বাণ । এ কথা শকুন্তলা সম্বন্ধেও খাটে। শকুন্তলার, প্রতিও রাজার প্রণয়শরনিক্ষেপ নিদারুণ । প্রণয়ব্যবসায়ে রাজা পরিপক্ক ও কঠিন– কত কঠিন, অন্যত্র তাহার পরিচয় আছে– আর, এই আশ্রমপালিত বালিকার অনভিজ্ঞতা ও সরলতা বড়োই স্বকুমার ও সকরুণ। হায়, মৃগটি যেমন কাতরবাক্যে রক্ষণীয়, শকুন্তলাও তেমনি। দ্বেী অপি অত্র আরণ্যকে । মৃগের প্রতি এই করুণাবাক্যের প্রতিধ্বনি মিলাইতেই দেখি, বন্ধলবসন তাপসকন্যা সখীদের সহিত আলবালে জলপূরণে নিযুক্ত, তরু-সোদর ও লতা-ভগিনীদের মধ্যে তাহার প্রাত্যহিক স্বেহসেবার কর্মে প্রবৃত্ত। কেবল বন্ধলবসনে নহে, ভাবে ভঙ্গীতেও শকুন্তলা যেন তরুলতার মধ্যেই একটি। তাই দুষ্মস্ত বলিয়াছেন,— অধর কিসলয়-রাঙিমা-আঁক, যুগল বাহু যেন কোমল শাখা, হৃদয়লোভনীয় কুস্কম হেন তন্থতে যৌবন ফুটেছে বেন। f নাটকের আরম্ভেই শাস্তিসৌন্দৰ্যসংবলিত এমন একটি সম্পূর্ণ জীবন, নিভৃত পুপ* পল্লবের মাঝখানে প্রাত্যহিক আশ্রমধর্ম, অতিথিসেবা, সখীস্নেহ ও বিশ্ববাৎসল্য লইয়া আমাদের সম্মুখে দেখা দিল। তাহা এমনি অখণ্ড, এমনি আনন্দকর যে, জামাদের কেবলই আশঙ্কা হয়, পাছে আঘাত লাগিলেই ইহা ভাঙিয়া যায়। দুষ্মন্তকে দুই উচ্চত বাহ-দ্বারা প্রতিরোধ করিয়া বলিতে ইচ্ছা হয়, বাণ মারিয়ে না, মারিয়ে নাএই পরিপূর্ণ সৌন্ধটি ভাঙিয়ে না। যখন দেখিতে দেখিতে দুষ্মন্ত-শকুন্তলার প্রণয় প্রগাঢ় হইয়া উঠিজেছে তখন