পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ोझैौम नाश्डिा qశ్రీ কৰি নিপুণ কৌশলে জানাইয়াছেন, দুর্বালার শাপে বাহ ঘটাইয়াছে স্বভাবের মধ্যে তাহার বীজ ছিল । কাব্যের খাতিরে বাহাকে আকস্মিক করিয়া দেখানে হুইয়াছে তাহা প্রাকৃতিক । চতুর্থ অঙ্ক হইতে পঞ্চম অঙ্কে আমরা হঠাৎ জার-এক ৰাতাসে আসিয়া পড়িলাম। এতক্ষণ আমরা যেন একটি মানসলোকে ছিলাম ; সেখানকার যে নিয়ম এখানকার সে নিয়ম নহে। সেই তপোবনের স্থর এখানকার স্বরের সঙ্গে মিলিবে কী করিয়া ? সেখানে যে ব্যাপারটি সহজ স্কুন্দরভাবে অতি অনায়াসে ঘটিয়াছিল এখানে তাহার কী দশা হুইবে, তাহা চিন্তা করিলে আশঙ্কা জন্মে। তাই পঞ্চম অঙ্কের প্রথমেই নাগরিকবৃত্তির মধ্যে যখন দেখিলাম যে, এখানে হৃদয় বড়ো কঠিন, প্রণয় বড়ো কুটিল, এবং মিলনের পথ সহজ নহে, তখন আমাদের সেই বনের সৌন্দর্যস্বপ্ন ভাঙিবার মতো হইল। ঋষিশিক্ষা শার্জরৰ রাজভবনে প্রবেশ করিয়া কহিলেন, যেন অগ্নিবেষ্টিত গৃহের মধ্যে আসিয়া পড়িলাম । শারদ্বত কহিলেন, "তৈলাক্তকে দেখিয়া স্বাত ব্যক্তির, অগুচিকে দেখিয়া শুচি ব্যক্তির, স্বপ্তকে দেখিয়া জাগ্রত জনের, এবং বন্ধকে দেখিয়া স্বাধীন পুরুষের যে তাব মনে হয়, এই-সকল বিষয়ী লোককে দেখিয়া আমার সেইরূপ মনে হইতেছে।" একটা যে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র লোকের মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছেন ঋষিকুমারগণ তাহ সহজেই অনুভব করিতে পারিলেন। পঞ্চম অঙ্কের আরম্ভে কৰি নানাপ্রকার আতাসের দ্বারা আমাদিগকে এই ভাবে প্রস্তুত করিয়া রাখিলেন, যাহাতে শকুন্তলাপ্রত্যাখান-ব্যাপার অকস্মাৎ অতিমাত্র আঘাত না করে । হংসপদিকার সরল করুণ भैोऊ ५हे कूब्रकां८७व्र फूबिक श्हेब्रा ब्रश्नि । তাহার পরে প্রত্যাখ্যান যখন অকস্মাং বজের মতো শকুন্তলার মাথার উপরে ভাঙিয়া পড়িল তখন এই তপোবনের দুহিতা বিশ্বস্ত হস্ত হইতে বাণাহত মৃগীর মতো বিস্ময়ে জাসে বেদনায় বিহবল হইয়া ব্যাকুলনেত্ৰে চাহিয়া রহিল। তপোবনের পুষ্পরাশির উপর অগ্নি জাসিয়া পড়িল। শকুন্তলাকে অস্তরে-বাহিরে ছায়ায়-সৌন্দর্ষে আচ্ছন্ন করিয়া ষে-একটি তপোবন লক্ষ্যে-অলক্ষ্যে বিরাজ করিতেছিল এই বজ্রাঘাতে তাহ শকুন্তলার চতুর্দিক হইতে চিরদিনের জন্ত বিশিষ্ট হইয়া গেল ; শকুন্তলা একেবারে” জনাবৃত হইয়া পড়িল। কোথায় তাত কখ, কোথায় মাতা গৌতমী কোথায় অনস্বয়াপ্রিয়ংবদা, কোথায় লেই-সকল তরুলতা-পশুপক্ষীর সহিত স্নেহের সম্বন্ধ, মাধুর্যের যোগসেই স্বন্দর শান্তি, লেই নির্মল জীৰন । এই এক মূহূর্তের প্রলয়াভিঘাতে শকুন্তলার ষে কতখানি বিলুপ্ত হইয় গেল তাহ দেখিয়া আমরা স্তম্ভিত হইয়া বাই। নাটকের প্রথম চান্ত্রি জন্ধে ৰে সংগীতধ্বনি উঠিয়াছিল তাহা এক মুহূর্তেই নিঃশব হইয়া গেল। "