পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন সাহিত্য &రీల করিতেন তবে শকুন্তলা হংসপদিকার দলবৃদ্ধি করিয়া তাহার অবরোধের এক প্রাস্তে স্থান পাইত। বহুবল্লভ রাজার এমন কত স্থখলন্ধ প্রেয়সী ক্ষণকালীন সৌভাগ্যের बडिप्लेकू भांज जहेब्री जमांनरब्रब्र अककांदब्र चबांदथक औयन बां★न कब्रिटङरछ् । লঙ্কৎকৃতপ্রণয়োহয়ং জন । শকুন্তলার সৌভাগ্যবশতই দুষ্মন্ত নিষ্ঠুর কঠোরতার সহিত তাহাকে পরিহার করিয়াছিলেন। নিজের উপর নিজের সেই নিষ্ঠুরতার প্রত্যভিঘাতেই দুষ্মস্তকে শকুন্তলা সম্বন্ধে আর অচেতন থাকিতে দিল না। অহরহ পরমবেদনার উত্তাপে শকুন্তলা তাহার বিগলিত হৃদয়ের সহিত মিশ্রিত হইতে লাগিল, তাহার অন্তর-বাহিরকে ওতপ্রোত , করিয়া দিল। এমন অভিজ্ঞতা রাজার জীবনে কখনো হয় নাই, তিনি যথার্থ প্রেমের উপায় ও অবসর পান নাই। রাজা বলিয়া এ সম্বন্ধে তিনি হতভাগ্য । ইচ্ছা তাহার অনায়াসেই মিটে বলিয়াই সাধনার ধন তাহার অনায়ত্ত ছিল। এবারে বিধাতা কঠিন দুঃখের মধ্যে ফেলিয়া রাজাকে প্রকৃত প্রেমের অধিকারী করিয়াছেন ; এখন হইতে র্তাহার নাগরিকবৃত্তি একেবারে বন্ধ । এইরূপে কালিদাস পাপকে হৃদয়ের ভিতর দিক হইতে আপনার অনলে আপনি দগ্ধ করিয়াছেন ; বাহির হইতে তাহাকে ছাইচাপা দিয়া রাখেন নাই। সমস্ত অমঙ্গলের নিঃশেষে অগ্নিসংকার করিয়া তবে নাটকখানি সমাপ্ত হইয়াছে ; পাঠকের চিত্ত একটি সংশয়হীন পরিপূর্ণ পরিণতির মধ্যে শাস্তি লাভ করিয়াছে। বাহির হইতে অকস্মাৎ বীজ পড়িয়া যে বিষবৃক্ষ জন্মে ভিতর হইতে গভীরভাবে তাহাকে নির্মূল না করিলে তাহার উচ্ছেদ হয় না। কালিদাস দুষ্মন্ত-শকুন্তলার বাহিরের মিলনকে দুঃখখনিত পথ দিয়া লইয়া গিয়া অভ্যন্তরের মিলনে সার্থক করিয়া তুলিয়াছেন। এইজন্তই কবি গেটে বলিয়াছেন, তরুণ বংসরের ফুল ও পরিণত বৎসরের ফল, মর্ত এবং স্বর্গ যদি কেহ একাধারে পাইতে চায় তবে শকুন্তলায় তাহ পাওয়া যাইবে । টেস্পেন্টে ফার্সিনাদের প্রেমকে প্রস্পেরে কৃচ্ছসাধনদ্বারা পরীক্ষা করিয়া লইয়াছেন। কিন্তু সে বাহিরের ক্লেশ। কেবল কাঠের বোঝা বহন করিয়া পরীক্ষার শেষ হয় না। আভ্যন্তরিক কী উত্তাপে ও পেষণে অঙ্গর হীরক হইয়া উঠে কালিদাস তাহ দেখাইয়াছেন। তিনি কালিমাকে নিজের ভিতর হইতেই উজ্জল করিয়া তুলিয়াছেন, তিনি ভঙ্গুরতাকে চাপ-প্রয়োগে দৃঢ়তা দান করিয়াছেন। শকুন্তলায় আমরা অপরাধের সার্থকতা দেখিতে পাই ; সংসারে বিধাতার বিধানে পাপও যে কী মঙ্গলকর্মে নিযুক্ত আছে কালিদাসের নাটকে আমরা তাহার স্থপরিণত দৃষ্টান্ত দেখিতে পাই। অপরাধের অভিঘাত ব্যতীত মঙ্গল তাহার শাশ্বত দীপ্তি ও শক্তি লাভ করে না। ’ . . (tళిdt