পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী অনন্ত আকাশপথ রুধি চারি ধারে কে তুমি সহস্ৰবাহু ঘিরেছ আমারে ? আমার ক্ষণিক প্রাণ কে এনেছে যাচি ? কোথা মোরে যেতে হবে, কেন আমি আছি ? ২ বৈশাখ ১৩০৩ ভয়ের দুরাশা জননী জননী ব’লে ডাকি তোরে ত্রাসে, যদি জননীর স্নেহ মনে তোর আসে শুনি আর্তস্বর। যদি ব্যাভ্রিনীর মতো. অকস্মাং ভুলে গিয়ে হিংসা লোভ যত মানবপুত্রেরে কর স্নেহের লেহন । নখর লুকায়ে ফেলি পরিপূর্ণ স্তন যদি দাও মুখে তুলি, চিত্রাঙ্কিত বুকে যদি ঘুমাইতে দাও মাথা রাখি স্থখে । এমনি দুরাশ ! আছ তুমি লক্ষ কোটি গ্ৰহতারা চন্দ্রস্থর্য গগনে প্রকটি হে মহামহিম । তুলি তব বজমুঠি তুমি যদি ধর আজি বিকট ক্রকুটি, আমি ক্ষীণ ক্ষুদ্রপ্রাণ কোথা পড়ে আছি, মা বলিয়া ভুলাইব তোমারে পিশাচী ! ২ বৈশাখ ১৩০৩ ভক্তের প্রতি সরল সরস স্নিগ্ধ তরুণ হৃদয়, কী গুণে তোমারে আমি করিয়াছি জয় তাই ভাবি মনে । উৎফুল্ল উত্তান চোখে চেয়ে আছ মুখপানে প্রীতির আলোকে