পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতালি প্রত্যুষে আনন্দভরে হাসিয়া হাসিয়া প্রভাত-পাখির মতো জাগাত আসিয়া । স্নেহের দৌরাত্ম্য তার নির্ঝরের প্রায় অামারে ফেলিত ঘেরি বিচিত্র লীলায় । আজি সে অনন্ত বিশ্বে আছে কোনখানে তাই ভাবিতেছি বসি সজলনয়ানে । ৭ শ্রাবণ ১৩০৩ বিলয় যেন তার জাখি দুটি নবনীল ভাসে ফুটিয়া উঠিছে আজি অসীম আকাশে । বৃষ্টিধৌত প্রভাতের আলোকহিল্লোলে আশ্রমাখা হাসি তার বিকাশিয়া তোলে । তার সেই স্নেহলীলা সহস্ৰ আকারে সমস্ত জগৎ হতে ঘিরিছে আমারে । বরষার নদী-’পরে ছল ছল আলো, দূরতীরে কাননের ছায়া কালে কালে, দিগন্তের স্তামপ্রাস্তে শাস্ত মেঘরাজি, তারি মুখখানি যেন শতরূপ সাজি । আঁখি তার কহে যেন মোর মুখে চাহি, “আজ প্রাতে সব পাখি উঠিয়াছে গাহি— শুধু মোর কণ্ঠস্বর এ প্রভাতবায়ে অনন্ত জগৎমাঝে গিয়েছে হারায়ে ।” ৭ শ্রাবণ ১৩০৩