পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী তৃণ হে বন্ধু প্রসন্ন হও, দূর করে ক্ৰোধ । তোমাদের সাথে মোর বৃথা এ বিরোধ । আমি চলিবারে চাই যেই পথ বাহি সেথা করে তরে কিছু স্থানাভাব নাহি । সপ্তলোক সেই পথে চলে পাশে পাশে তবু তার অন্ত নাই মহান আকাশে । তোমার ঐশ্বৰ্ষরাশি গৃহভিত্তিমাঝে ব্ৰহ্মাণ্ডেরে তুচ্ছ করি দীপ্তগর্বে সাজে। তারে সেই বিশ্বপথে করিলে বাহির মুহূর্তে সে হবে ক্ষুদ্র মান নতশির-— সেথা তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নবতৃণদল বরষার বৃষ্টিধারে সরস শুামল । সেথা তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ, ওগো অভিমান, এ আমার আজিকার অতি ক্ষুদ্র গান। ১১ আশ্রাবণ ১৩০৩ ঐশ্বর্য ক্ষুদ্র এই তৃণদল ব্ৰহ্মাণ্ডের মাঝে সরল মাহাত্ম্য লয়ে সহজে বিরাজে । পুরবের নবসূর্য, নিশীথের শশী, তৃণটি তাদেরি সাথে একাসনে বসি । আমার এ গান এও জগতের গানে মিশে যায় নিখিলের মর্মমাঝখানে ; শ্রাবণের ধারাপাত, বনের মর্মর সকলের মাঝে তার আপনার ঘর । কিন্তু, হে বিলাসী, তব ঐশ্বর্ষের ভার ক্ষুদ্র রুদ্ধদ্বারে শুধু একাকী তোমার।