পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতালি শুশ্রাধ৷ ব্যথাক্ষত মোর প্রাণ লয়ে তব ঘরে অতিথিবৎসল নদী কত স্নেহভরে শুশ্ৰুষা করিলে আজি— স্নিগ্ধ হস্তখানি দগ্ধ হৃদয়ের মাঝে সুধা দিল আনি । সায়াহ আসিল নামি, পশ্চিমের তীরে ধান্তক্ষেত্রে রক্তরবি অস্ত গেল ধীরে । পূর্বতীরে গ্রাম বন নাহি যায় দেখা, জলস্ত দিগন্তে শুধু মসীপুঞ্জরেখা ; সেথা অন্ধকার হতে আনিছে সমীর কর্ম-অবসান-ধ্বনি অজ্ঞাত পল্লীর । দুই তীর হতে তুলি দুই শাস্তিপাখা আমারে বুকের মাঝে দিলে তুমি ঢাকা । চুপিচুপি বলি দিলে, “বংস, জেনো সার, স্থখ দুঃখ বাহিরের, শাস্তি সে আত্মার ।” ১৪ আশ্রাবণ ১৩০৩ আশিস-গ্রহণ চলিয়াছি রণক্ষেত্রে সংগ্রামের পথে । সংসারবিপ্লবধ্বনি আসে দূর হতে। বিদায় নেবার অাগে, পারি যতক্ষণ পরিপূর্ণ করি লই মোর প্রাণমন নিত্য-উচ্চারিত তব কলকণ্ঠস্বরে উদার মঙ্গলমন্ত্রে— হৃদয়ের পরে লই তব শুভম্পর্শ, কল্যাণসঞ্চয় । এই আশীর্বাদ করো, জয়পরাজয় ধরি যেন নম্রচিত্তে করি শির নত দেবতার আশীর্বাদী কুস্কমের মতো । © Ꮔ