পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসর্গ যে আনন্দে যে অনন্ত চিত্তবেদনায় ধ্বনিত মানবপ্রাণ, আমার বীণায় দিয়েছেন তারি সুর- সে তাহারি দান । সাধ্য নাই নষ্ট করি সে বিচিত্র গান । তব আজ্ঞা রক্ষা করি নাই সে ক্ষমতা, সাধ্য নাই তার আজ্ঞা করিতে অন্যথা ।” Ο Σ হে জনসমুদ্র, আমি ভাবিতেছি মনে কে তোমারে আন্দোলিছে বিরাট মস্থানে অনন্ত বরষ ধরি । দেবদৈত্যদলে কী রত্ন সন্ধান লাগি তোমার অতলে অশান্ত আবর্ত নিত্য রেখেছে। জাগায়ে পাপে-পুণ্যে সুখে-দুঃখে ক্ষুধায়-তৃষ্ণায় ফেনিল কল্লোলভঙ্গে । ওগো, দাও দাও কী আছে তোমার গর্ভে— এ ক্ষোভ থামাও । তোমার অন্তরলক্ষ্মী যে শুভ প্ৰভাতে বিস্মিত ভুবন-মাঝে, লয়ে বরমালা ত্ৰিলোকনাথের কণ্ঠে পর্যাবেন বালা, সেদিন হইবে ক্ষান্ত এ মহামন্থন, থেমে যাবে সমুদ্রের রুদ্ধ এ ক্ৰন্দন । আলমোড়া २२ ऊार्छ >७>० ډ لا নব বৎসরে করিলাম। পণ লব স্বদেশের দীক্ষা, তব আশ্রমে তোমার চরণে, হে ভারত, লব শিক্ষা । পরের ভূষণ পরের বসন তেয়াগিব আজ পরের অশান ; যদি হই দীন, না হইবা হীন, ছাড়িব পরের ভিক্ষা । নব বৎসরে করিলাম। পণ লব স্বদেশের দীক্ষা । না থাকে প্রাসাদ, আছে তো কুটির কল্যাণে সুপবিত্ৰ ।