পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুধু ७१ों, হেথায় ২ আষাঢ় ১৩১৩ খেয়া কোন লাজে বা বলব আমি “তোমায় শুধু চাহি’, আমি বলব কেমন করেতোমারি পথ চেয়ে আমি রজনী দিন বাহি, তুমি আসবে আমার তরে । তারে দিব বিসর্জন-- অভাগিনীর এ অভিমান কাহার কাছে কব, তাহা রইল সংগোপন । সুদূর-পানে চেয়ে চেয়ে ভাবি আপন-মনে হেথা তুণে আসন মেলে— হঠাৎ কখন আসবে হেথায় বিপুল আয়োজনে তোমার সকল আলো জেলে । রথের ‘পরে সোনার ধ্বজ বলবে ঝলমল, সাথে বাজবে বাশির তানপ্রতাপ-ভরে বসুন্ধরা করবে। টলমল, আমার উঠবে নোচে প্ৰাণ । পথের লোকে অবাক হয়ে সবাই চেয়ে রবে, তুমি নেমে আসবে পথে ; দুহাত ধরে ধুলা হতে আমায় তুলে লবে— তুমি লবে তোমার রথে । ভূষণবিহীন মলিন বেশে ভিখারিনীর সাজে তোমার দাড়াব বাম পাশে, লতার মতো কঁপিব আমি গর্বে সুখে লাজে সকল বিশ্বের সকাশে । সময় বয়ে যাচ্ছে চলে, রয়েছি। কান পেতেকোথা কই গো চাকার ধ্বনি । এ পথ দিয়ে কত-না লোক গর্বে গেল মেতে কতই জাগিয়ে রনরনি । তুমিই কি গো নীরব হয়ে রবে ছায়ার তলে, তুমি রবে সবার শেষে— ভিখারিনীর লজা কী গো করবে নয়নজলে । তারে রাখবে মলিন বেশে ?