পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধুনিক সাহিত্য tał উঠিছে ললিত তান, ঘুমায়ে ঘুমায়ে গান গায় দুই জন । সুরে সুরে সম রাখি ডেকে ডেকে ওঠে। পাখি, , তালে তালে ঢলে ঢলে চলে সমীরণ । কুঞ্জের আড়ালে থেকে চন্দ্ৰমা লুকায়ে দেখে, প্রণয়ীর সুখে সদা সুখী সুধাকর । সাজিয়ে মুকুলে ফুলে আহলাদেতে হেলে দুলে । চৌদিকে নিকুঞ্জলতা নাচে মনোহর । সে আনন্দে আনন্দিনী, উথলিয়ে মন্দাকিনী করি করি কলধ্বনি বহে কুতুহলে।’ এইরূপ বিষাদ-বিরহ-সংশয়ের পর কবি হিমালয়শিখরে প্রণয়িনী দেবীর সহিত আনন্দমিলনের চিত্র আঁকিয়া গ্ৰন্থ শেষ করিয়াছেন । আরম্ভ-অংশ ব্যতীত হিমালয়ের বর্ণনা প্ৰশংসার যোগ্য নহে, সেই বৰ্ণনা বাদ দিয়া অবশিষ্ট অংশ উদধূত করি।-- দাড়ায়ে শিখর-’পর এই-যে হৃদয়রানী ত্রিদিবসুষমা । এ নিসর্গ-রঙ্গভূমি, শোভার সাগরে এক শোভা নিরুপমা । আননে বচন নাই, নয়নে পলক নাই, কান নাই মন নাই আমার কথায় এ নহে শশিযামিনীঘুমাইয়ে একাকিনী কী দেখ স্বপনে ! আহা কী ফুটিল হাসি ! বড়ো আমি ভালোবাসি ওই হাসিমুখখানি প্ৰেয়সী তোমার বিষাদের আবরণে বিমুক্ত ও চন্দ্ৰােননে দেখিবার আশা আর ছিল না। আমার ।