পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছবি ও গান নীরবে টুটিছে প্ৰাণ, চাহিছে তারার পানে অরণ্যে পশিয়া । কেহ বা রয়েছে শুয়ে দগ্ধ হৃদয়ের ‘পরে কেহ না দেখিছে তারে, অন্ধকারে অশ্রুধারা কেহ বা শুনিছে সাড়া, উর্ধর্বকণ্ঠে নাম ধরে ডাকিছে। মরণে— দলিছে চরণে । ও দিকে আকাশ-’পরে মাঝে মাঝে থেকে থেকে উঠে অট্টহাস, ঘন ঘন করতালি, উনমাদ কণ্ঠস্বরে কঁপিছে আকাশ । ক্ষণিক উল্লাসআঁধার মুহূর্ত-তরে হাসে যথা প্ৰাণপণে আলেয়ার হাস । অরণ্যের প্রান্তভাগে নদী এক চলিয়াছে থাকিয়া থাকিয়া । আঁধারে চলিতে পান্থ দেখিতে না পায় কিছু জলে গিয়া পড়ে, . মুহূর্তের হাহাকার মুহুর্তে ভাসিয়া যায় খরস্রোতভারে । সখা তার তীরে বসি একেলা কাদিতে থাকে, ডাকে উর্ধবশ্বাসেকাহারো না পেয়ে সাড়া শূন্যপ্ৰাণ প্ৰতিধ্বনি কেঁদে ফিরে আসে । নিশীথের কারাগারে কে বেঁধে রেখেছে মোরে রয়েছি পড়িয়াকেবল রয়েছি বেঁচে স্বপন কুড়ায়ে লয়ে ভাঙিয়া গড়িয়া । আঁধারে নিজের পানে চেয়ে দেখি, ভালো করে দেখিতে না পাই— হৃদয়ে অজানা দেশে পাখি গায়, ফুল ফোটে, পথ জানি নাই । ֆ ՀԳ