পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ন্যাসী । বালিকা । সন্ন্যাসী । প্রকৃতির প্রতিশোধ মহা আনন্দে পুলককায় গঙ্গা উথলি ছলি যায়, ভালে শিশুশশী হাসিয়া চায়, প্ৰস্থান সন্ন্যাসীর প্রবেশ । আয় তোরা, কাছে আয়, কে আসিবি আয়সকলি সুন্দর হেরি এ বিশ্বজগতে । আমিও কি কাছে যাব ! ডাকো পিতা ডাকো ! কী দোষ করিয়াছিনু বলে বুঝাইয়া ! কিছু ভয় করিস নে, কোনো দোষ নেই— তোরে ফেলে আর কভু যাব না বালিকা । গুহার কাছে গিয়া এ কী অন্ধকার হেথা ! এ কী বদ্ধ গুহা ! চাদের আলোতে গিয়ে বসি একবার । আহা এ কী সুমধুর ! এ কী শান্তিসুধা ! মনে সাধ যায়। ওই তরু হয়ে গিয়ে চন্দ্ৰলোকে দাড়াইয়া স্তব্ধ হয়ে থাকি । ধীরে ধীরে কত কী যে মনে আসিতেছে । বায়ু যেন বহে আসে নিশ্বাসের মতো, সাথে লয়ে পল্লবের মর্মরবিলাপ, মিলিত জড়িত শত পুষ্পগন্ধরাশি । এমনি জোছনা-রাত্রে কোনখানে ছিনু, কারা যেন চারি পাশে বসে ছিল মোর ! তোরি মতো দু-একটি মধুমাখা মুখ চাদের আলোতে মিশে পড়িতেছে মনে । আর না রে, আর না রে, আর ফিরিব না । তোদের অনেক দূরে ফেলিয়া এসেছি। মাঝে মাঝে অতি দূরে রেখা দেখা যায়— SAS