পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8(8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী মল্লুরাম । আহা ঠিক ! শাস্ত্র যদি চাও তো এই বটে। তা, আমিও তো ঠিক ঐ কথাটাই বোঝাচ্ছিলুম। দেবদত্ত । (নন্দর প্রতি) নমস্কার ! তুমি তো ব্ৰাহ্মণ দেখছি। কী বল ঠাকুর, পরিণামে এই সব মুখরা ‘ভ্ৰমাদভ্রমদভ্ৰমাৎ হয়ে মরবে না ? নন্দ । বরাবর তাই বলছি, কিন্তু বোঝে কে ? ছোটোলোক কিনা ৷ দেবদত্ত । (মনসুখের প্রতি) তোমাকেই এর মধ্যে বুদ্ধিমানের মতো দেখাচ্ছে, আচ্ছা, তুমিই বলে। দেখি, কথাগুলো কি ভালো হচ্ছিল ? (কুঞ্জরের প্রতি) আর তোমাকেও তো বেশ ভালোমানুষ দেখছি হে, তোমার নাম কী ? কুঞ্জর । আমার নাম কুঞ্জীরলাল— কাঞ্জিলাল আমার ভাইপোর নাম । দেবদত্ত । ওঃ ! তোমারই ভাইপোর নাম কাঞ্জিলাল বটে ? তা, আমি রাজার কাছে বিশেষ করে তোমাদের নাম করব | হরিদীন । আর আমাদের কী হবে ? দেবদত্ত | তা আমি বলতে পারি। নে বাপু ! এখন তো তোরা কান্না ধরেছিস— এই একটু আগে আর-এক সুর বের করেছিলি । সে কথাগুলো কি রাজা শোনে নি ? রাজা সব শুনতে পায়। অনেকে । দোহাই ঠাকুর, আমরা কিছু বলি নি, ঐ কাঞ্জলাল না মাঞ্জলাল অস্তরের কথা পেড়েছিল । কুঞ্জর । চুপ কর। আমার নাম খারাপ করিস নে ! আমার নাম কুঞ্জীরলাল । তা, মিছে কথা বলব না, আমি বলছিলুম, “যেমন শাস্তর আছে তেমনি অস্তরও আছে, রাজা যদি শাস্তরের দোহাই না মানে তখন অস্তর আছে । কেমন বলেছি। ঠাকুর ? দেবদত্ত । ঠিক বলেছ, তোমার উপযুক্ত কথাই বলেছ। অস্ত্র কী ? না, বল । তা তোমাদের বল কী ? না, “দুর্বলস্য বলং রাজা । কি না, রাজাই দুর্বলের বল। আবার, বালানাং রোদনং বলং” । রাজার কাছে তোমরা বালক বৈ নও । অতএব এখানে কান্নাই তোমাদের অস্ত্র । অতএব শাস্তর যদি না খাটে তো তোমাদের অস্ত্ৰ আছে কান্না । বড়ো বুদ্ধিমানের মতো কথা বলেছ। প্ৰথমে আমাকেই ধাধা লেগে গিয়েছিল । তোমার নামটা মনে রাখতে হবে । কী হে, তোমার নাম কী ? কুঞ্জর । আমার নাম কুঞ্জীরলাল । কাঞ্জিলাল আমার ভাইপো । অন্য সকলে । ঠাকুর, আমাদের মাপ করো। ঠাকুর, মাপ করে । দেবদত্ত । আমি মাপ করবার কে ? তবে দেখ, কান্নাকাটি করে দেখ, রাজা যদি মাপ করে । {2थ्ट्रीr; তৃতীয় দৃশ্য অন্তঃপুর 20RTиKSolo বিক্রমদেব ও সুমিত্ৰা বিক্রমদেব । মোিনমুগ্ধ সন্ধ্যা ওই মন্দ মন্দ আসে কুঞ্জবনমাঝে, প্রিয়তমে, লজানস্র নববধূসম— সম্মুখে গভীর নিশা