পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8brS কুমারসেন । ইলা । কুমারসেন । কুমারসেন । রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী কেন এ করুণ সুর ? কেন দুঃখগান ? বিষয় নয়ন কেন ? এ কি দুঃখগান ? শোনায় গভীর সুখ দুঃখের মতন উদার উদাস । সুখদুঃখ ছেড়ে দিয়ে আত্মবিসর্জন করি রমণীর সুখ । পৃথিবী করিব বশ তোমার এ প্ৰেমে । আনন্দে জীবন মোর উঠে উচ্ছসিয়া বিশ্বমাঝে । শ্রান্তিহীন কর্মসুখতরে ধায় হিয়া । চিরকীর্তি করিয়া অর্জন তোমারে করিব তার অধিষ্ঠাত্রী দেবী । বিরলে বিলাসে বসে এ অগাধ প্ৰেম পারি। নে করিতে ভোগ অলসের মতো । ওই দেখে রাশি রাশি মেঘ উঠে আসে উপত্যক হতে, ঘিরিতে পর্বতশৃঙ্গ— সৃষ্টির বিচিত্র লেখা মুছিয়া ফেলিতে । দক্ষিণে চাহিয়া দেখো— অস্তরবিকরে সুবৰ্ণসমুদ্ৰসম সমতলভূমি গেছে চলে নিরুদ্দেশ কোন বিশ্ব-পানে । অস্পষ্ট সকলি- যেন স্বর্ণ চিত্ৰপটে শুধু নানা বর্ণসমাবেশ, চিত্ররেখা এখনো ফোটে নি । যেন আকাঙক্ষা আমারই শৈল-অন্তরাল ছেড়ে ধরণীর পানে কল্পনার স্বৰ্ণলেখা ছায়াস্ফুট ছবি । আহা, হােথা কত দেশ, নব দৃশ্য কত, কত নব কীর্তি, কত নব রঙ্গভূমি ! অনন্তের মূর্তি ধরে ওই মেঘ আসে মোদের করিতে গ্ৰাস । নাথ, কাছে এসো । আহা, যদি চিরকাল এই মেঘমাঝে লুপ্ত বিশ্বে থাকিতাম তোমাতে আমাতে, দুটি পাখি একমাত্র মহামেঘনীড়ে । , পারিতে থাকিতে তুমি ? মেঘ-আবরণ ভেদ করে কোথা হতে পশিত শ্রবণে ধরার আহবান, তুমি ছুটে চলে যেতে আমারে ফেলিয়া রেখে প্ৰলয়ের মাঝে । পরিচারিকা। কাশ্মীরে এসেছে দূত জলন্ধর হতে গোপন সংবাদ লয়ে ।