পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী চরের প্রবেশ চর। রাজন, বিপক্ষদল নিকটে এসেছে। নাই বাদ্য, নাই জয়ধ্বজা, নাই কোনো যুদ্ধ-আস্ফালন, মার্জনা-প্রার্থনা-তরে আসিতেছে যেন । বিক্রমদেব । থােক, চাহি না শুনিতে মার্জনার কথা । আগে আমি আপনারে করিব মার্জনা, অপযশ রক্তস্রোতে করিব ক্ষালন । যুদ্ধে চলো সেনাপতি ! দ্বিতীয় চর । বিপক্ষ শিবির হতে আসিছে শিবিকা বোধ করি সন্ধিদূত লয়ে । সেনাপতি । মহারাজ, তিলেক অপেক্ষা করো- আগে শোনা যাক কী বলে বিপক্ষদূত— বিক্রমদেব | যুদ্ধ তার পরে । সৈনিকের প্রবেশ সৈনিক । মহারানী এসেছেন বন্দী ক’রে লয়ে যুধাজিৎ আর জয়সেনে । বিক্রমদেব । (Փ ԶՇi(շ ? সৈনিক । মহারানী । বিক্রমদেব । মহারানী ! কোন মহারানী ? সৈনিক । আমাদের মহারানী । বিক্রমদেব । বাতুল ! উন্মাদ ! যাও সেনাপতি, দেখে এসো কে এসেছে । [সেনাপতি প্রভৃতির প্রস্থান মহারানী এসেছেন বন্দী করে লয়ে যুধাজিৎ-জয়সেনে ! এ কি স্বপ্ন নাকি ! এ কি রণক্ষেত্র নয় ? এ কি অন্তঃপুর ? এতদিন ছিলাম কি যুদ্ধের স্বপনে মগ্ন ? সহসা জাগিয়া আজ দেখিব কি পুস্পশয্যা, সেই সুদীর্ঘ অলস দিন, দীর্ঘনিশি বিজড়িত ঘুমে জাগরণে ? বন্দী ? কারে বন্দী ? কী শুনিতে কী শুনেছি ? এসেছে কি আমারে করিতে বন্দী ? দূত ! সেনাপতি ! কে এসেছে ? কারে বন্দী লয়ে ? সেনাপতির প্রবেশ সেনাপতি । মহারানী এসেছেন। লয়ে কাশ্মীরের