পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুপতি । জয়সিংহ । রঘুপতি । জয়সিংহ । বিসর্জন সহজে আনন্দ এত বহিত কি হেথা ? তাহা হলে বেদনায় বিদীর্ণ ধরায়, বিশ্বব্যাপী ব্যাকুল ক্ৰন্দন থেমে গিয়ে মূক হয়ে রহিত অনন্তকাল ধরি । বাশি যদি সত্যই কাদিত বেদনায়, ফেটে গিয়ে সংগীত নীরব হত তার ! মিথ্যা বলে তাই এত হাসি- শ্মশানের কোলে বসে খেলা, বেদনার পাশে শুয়ে গান, হিংসা-ব্যাঘিনীর খরনখতলে চলিতেছে প্ৰতিদিবসের কর্মকাজ ! সত্য হলে এমন কি হত্য ? হা অপর্ণা, তুমি আমি কিছু সত্য নই, তাই জেনে সুখী হও— বিষন্ন বিস্ময়ে, মুগ্ধ আঁখি তুলে কেন রয়েছিস চেয়ে ! আয় সখী, চিরদিন চলে যাই দুই জনে মিলে সংসারের পর দিয়ে, শূন্য নভস্তলে দুই লঘু মেঘখণ্ড-সম | রঘুপতির প্রবেশ জয়সিংহ ! তোমারে চিনি নে আমি । আমি চলিয়াছি আমার অদৃষ্টভরে ভেসে নিজ পথে, পথের সহস্ৰ লোক যেমন চলেছে । তুমি কে বলিছ মোরে দাড়াইতে ? তুমি চলে যাও- আমি চলে যাই । জয়সিংহ ! ওই তো সম্মুখে পথ চলেছে সরল— চলে যাব ভিক্ষাপাত্র হাতে, সঙ্গে লয়ে ভিখারিনী সখী মোর । কে বলিল, এই সংসারের রাজপথ দুরূহ জটিল ! যেমন ক’রেই যাই, দিবা-অবসানে পহুছিব জীবনের অন্তিম পলকে, আচার বিচার তর্ক বিতর্কের জাল কোথা মিশে যাবে। ক্ষুদ্র এই পরিশ্রান্ত (VG