পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু্যামলী >ペ○ শু্যামলী ওগো শ্বামলী, আজ শ্রাবণে তোমার কালো কাজল চাহনি চুপ করে থাকা বাঙালি মেয়েটির ভিজে চোখের পাতায় মনের কথাটির মতো । তোমার মাটি আজ সবুজ ভাষায় ছড়া কাটে ঘাসে ঘাসে আকাশের বাদল-ভাষার জবাবে । ঘন হয়ে উঠল তোমার জামের বন পাতার মেঘে, বলছে তারা উড়ে-চলা মেঘগুলোকে হাত তুলে, "থামো, থামো— থামো তোমার পুব বাতাসের সওয়ারি।” পথের ধারে গাছতলাতে তোমার বাসা, শু্যামলী, তুমি দেবতাপাড়ায় বেদের মেয়ে, বাসা ভাঙ বারে বারে, খালি হতে বেরিয়ে পড় পথে, এক নিমেষে তুমি নিঃশেষে গরিব, তুমি নির্ভাবনা । তোমাকে যে ভালোবেসেছে গাঠছড়ার বাধন দাও না তাকে ; বাসর-ঘরের দরজা যখন খোলে রাতের শেষে তখন আর কোনোদিন চায় না সে পিছন ফিরে মুখোমুখি বসব বলে বেঁধেছিলেম মাটির বাসা তোমার কাচ-বেড়া-দেওয়া আঙিনাতে। ” সেদিন গান গাইল পাখিরা, তাদের নেই আচল খাচা ; তারা নীড় যেমন বাধে তেমনি আবার ভাঙে ৷ বসন্তে এ পারে তাদের পালা, শীতের দিনে ও পারের অরণ্যে