পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ہ 9 S ধনঞ্জয় । যখন হারাই বন্ধ-ঘরের তালা, যখন অন্ধ নয়ন, শ্রবণ কালা, তখন অন্ধকারে লুকিয়ে দ্বারে শিকলে দাও নাড়া। ঘুম যখন ভাঙবে তখনই দরজা খোলবার সময় আসবে রে। প্রজা। ঘুম যে ভাঙে না । - ধনঞ্জয়। সেইজন্যেই তাড়া লাগছে, নইলে দুঃখ আসবে কেন। যত দুঃখ আমার দুঃস্বপনে, সে-যে ঘুমের ঘোরেই আসে মনে, ঠেলা দিয়ে মায়ার আবেশ করো গো দেশছাড়া । অজ্ঞান হয়ে থাকিস বলেই তো স্বপ্নের চোটে তোরা গুণ্ডরে মরিস । প্রজা। রাজার পেয়াদা এসে যখন মার লাগায় ? সেটাকে তুমি স্বপ্ন বল নাকি ? ধনঞ্জয়। তা না তো কী ? স্বপ্নের হাজার লক্ষ মুখোশ আছে; রাজার মুখোশ পরেও আসে— তোদের অচৈতন্য নিয়েই তোদের সে মারে, তার হাতে আর কোনো অস্ত্র নেই। আমি আপন মনের মারেই মরি শেষে দশ জনারে দোষী করি— আমি চোখ বুজে পথ পাই নে ব’লে কেঁদে ভাসাই পাড়া । দেখ, আমি এই কথা তোদের বলতে এসেছি— সংসারে তোরাই দুঃখ এনেছিল। প্রজা। সে কী কথা ঠাকুর, আমরা দুঃখ পাই, আমরা তো দুঃখ দিই নে । আমাদের সে শক্তিই নেই। ধনঞ্জয় । ওরে বোকা, মার খাবার জন্যে যে তৈরি হয়ে অাছে মারের ফসল ফলাবার মাটি সে যে চষে রেখেছে । তোদেরই অপরাধ সব চেয়ে বেশি– তোরা তোদের অন্তর্যামী ঠাকুরকে লজ্জা দিয়েছিল, তাই এত দুঃখ । প্রজা । আমরা কী করব বলে দাও । بط ধনঞ্জয় । আর কত বলব ? বার বার বলছি ভয় নেই, ভয় নেই, ভয় নেই। k t “. গান . नांझे उब्र, नोहे उब्र नॉड़े ८ब्र । , , থাক পড়ে থাক ভর বাইরে | |