পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

め今や রবীন্দ্র-রচনাবলী রামমোহন। কুপরামর্শ দেবার লোক যে ঢের আছে। ওরা বলছে যাদবপুরের ঘরের মেয়ে এনে তাকে ওঁর পাটরানী করবে । বসন্ত ৷ এও কি কখনো সম্ভব ? অামাদের বিভাকে ত্যাগ করবে ? রামমোহন। সেই চক্রাস্তই হয়েছে, তাই আমি ছুটে এলুম। অপরাধ করলেন নিজে, আর যিনি সতীলক্ষ্মী তাকে দণ্ড দিলেন । এও কি কখনো সইবে ? হোক-না কলি, ধর্ম কি একেবারে নেই। চললুম মহারাজ, আশীর্বাদ করবেন, আমাদের রাজার যেন সুমতি হয়। বসন্ত । এখানকার বিপদ কেটে গেলে আমি নিজে যাব তোমাদের ওখানে। এমন অন্যায় হতে দেব কেন । [ রামমোহনের প্রণাম করিয়া প্রস্থান সীতারামের প্রবেশ কী সীতারাম, খবর কি ? সীতারাম। কারাগারে আমরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছি, এখনই যুবরাজ বেরিয়ে আসবেন । বসন্ত । আবার আর-একটা উৎপাত ঘটবে না তো ? একটা ফাড় কাটাতে গিয়ে আর-একটা ফাড়া ঘাড়ে চাপে যে। আমার ভালো ঠেকছে না । সীতারাম। কাছেই নৌকো তৈরি আছে খুড়োমহারাজ, তাকে নিয়ে এখনই আপনাকে পালাতে হবে । এ ছাড়া আর কোনো গতি নেই। বসন্ত । তার আগে বিভার সঙ্গে একবার দেখা করে আসি-গে । সীতারাম । না, তার সময় নেই। বসন্ত। দেরি করব না সীতারাম, তার সঙ্গে জীবনে আর তো দেখা হবে না। সীতারাম । তা হলে সমস্ত আমাদের বৃথা হয়ে যাবে । ওই দেখুন, আগুনের শিখা জলে উঠেছে। বসন্ত । আগুন থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে তো রে ? সীতারাম। কারাগারের মধ্যেই আমাদের চর আছে, এই এলেন বলে, দেখুন-না ! উদয়াদিত্যের প্রবেশ উদয়। দাদামশায় যে ! বসন্ত । আয় ভাই, আয়। উদয়। সমস্তই স্বপ্ন নাকি ? আমি তো বুঝতে পারছি নে।