পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>bペ রবীন্দ্র-রচনাবলী মহিষী। গর্ভে ধরে সংসারে কী দুঃখই এনেছি। রাজার বাড়িতে এরা জন্মেছিল এইজন্যেই ? এখন একবার বাড়িতে চল— তার পরে— উদয়। না মা, ও বাড়িতে আর নয়— রাস্তা বেয়ে সোজা চলে যাব, আমাদের পিছনে তাকাবার কিছুই নেই। মহিষী। তোরা রাস্তায় বেরিয়ে যাবি, আর এই রাজবাড়ির অন্ন যে আমার বিষের মতো ঠেকবে। উদয় । এখন আমাদের আশীৰ্বাদ করে বিদায় করে । মহিষী। বুঝতে পারছি, তোদের দুঃখের দিন ঘুচল। এবার ঈশ্বর তোদের মুখেই রাখবেন। তবু দুর্বল মন মানে না যে। আজ থেকে মায়ের যোগ্য সেবা তোদের আর তো কিছু করতে পারব না, তোদের জন্যে যশোরেশ্বরীর কাছে রোজ পুজো দেব। বিভা ৷ দাদামহাশয় কোথায় দাদা । উদয় । তিনি কাছেই কোথাও আছেন— এখনই দেখা হবে । প্রতাপ । না, দেখা হবে না । কোনোদিন না। উদয় । কেন, তার কী হল ? প্রতাপ । তার বিচার বাকি আছে। সে-সব কথা তোমাদের ভাববার কথা নয় । উদয়। না হতে পারে, কিন্তু এই বলে গেলুম মহারাজ, রাজ্য তো মাটির নয়, রাজ্য হল পুণ্যের— সে পুণ্য রাজীকে নিয়ে, প্রজাকে নিয়ে, সকলকে নিয়ে। বিভা, আর র্কাদিস নে। দাদামশায় তো মহাপুরুষ, ভয়ে তার ভয় নেই, মৃত্যুতে তার মৃত্যু নেই। আমাদের মতো সামান্য মানুষই ঘা খেয়ে মরে । প্রতাপ। এখন এসো উদয়, কালীর মন্দিরে এসো, মায়ের পা ছুয়ে শপথ করতে হবে । हूिं षष्; প্রথম দৃশ্য বরবেশে রামচন্দ্র রমাই। আপনি তো চলে এলেন, এ দিকে যুবরাজ বাবাজি বিষম গোলে পড়লেন মন্ত্রী । কিরকম হে রমাই ।